Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বজলুর রশীদের জামিন ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল


২২ নভেম্বর ২০২০ ১৬:১০

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদের জামিন আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রেখেছেন আদালত।

রোববার (২২ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ-৫-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ ও বজলুরের জামিন বাতিল বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু নির্ধারিত বিচারক না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ও জামিন বাতিল বিষয়ক শুনানির জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

এসময় দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এর বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, তথ্য গোপন করে গত ২৯ অক্টোবর জামিন নেন বজলুর রশীদ। তার জামিন বাতিলের প্রার্থনা করছি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, তিনি কোনো তথ্য গোপন করেন নাই। তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করছি। তখন বিচারক বলেন, আমি তো রেগুলার কোর্ট না, চার্জের কোর্ট। নিয়মিত কোর্টে শুনানি হোক।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বজলুর রশীদের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। এরপর দুদকের পক্ষ থেকে বজলুরের জামিন বাতিল চেয়ে গতকাল রোববার (১ নভেম্বর) আবেদনটি জমা দেন।

গত ২৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই মামলার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন। চার্জশিটে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। এরই মধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের দাম হিসেবে ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। অ্যাপার্টমেন্টের দাম হিসেবে পরিশোধিত এই অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। অ্যাপার্টমেন্ট কেনা সংক্রান্ত কোনো তথ্য তিনি আয়কর নথিতেও দেখাননি। অ্যাপার্টমেন্টের দাম হিসেবে পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিহিত করে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে পাঠানোর অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এর অংশ হিসেবে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুর রশীদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন তাকে আদালতে উপস্থিত করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর আদালতে বারবার জামিন আবেদন করলেও সে আবেদন নাকচ হওয়ায় এতদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।

ডিআইজি প্রিজন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর