কাস্টমস-ছাড়পত্র ছাড়াই ৫৫৮৪ কনটেইনার খালাস, তদন্ত শুরু
১৪ মার্চ ২০১৮ ২১:০৫ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৮ ২১:২০
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম ব্যুরো
আমদানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা ৫ হাজার ৫৮৪টি কনটেইনারের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এসব কনটেইনারের বিপরীতে কাস্টমসে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। এই অবস্থায় পণ্যসহ কনটেইনারগুলোর অবস্থান তদন্ত করে দেখছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার ড. একেএম নূরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘কনটেইনারগুলোতে আসা পণ্য হতে পারে নিলাম হয়ে গেছে। অথবা অন্যকোনো উপায়ে খালাস পেয়েছে। অথবা পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। তদন্ত করলে বোঝা যাবে। তদন্তের আগপর্যন্ত সেগুলোর হদিস পাওয়া যাচ্ছে কি যাচ্ছে না, সেটা বোঝা যাবে না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ২৫টি চালানে কনটেইনারগুলো আসার তথ্য দাখিল করা হয় কাস্টমসের কাছে। কিন্তু সেগুলো ছাড় নেওয়ার জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি।
কনটেইনারগুলোর অবস্থা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ শফি উদ্দিনকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হাসমত আলী, উপ-কমিশনার মো. বাবুল ইকবাল এবং সহকারী কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।
তদন্তের জন্য কমিটিকে এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহের রোববার তদন্তের অগ্রগতি লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।
কাস্টমস কমিশনার একেএম নূরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘কনটেইনার খালাসের সঙ্গে সরকারি রাজস্ব জড়িত। বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করে তো খালাসের সুযোগ নেই। তদন্তের পর আমরা যদি জানতে পারি যে সেগুলো বন্দরে নেই, তখন আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেব। তারা কনটেইনারগুলোর সার্বিক অবস্থা আমাদের জানাবে। এরপর বলা যাবে, সেখান থেকে কোনো কনটেইনার মিসিং হয়েছে কি না।’
সারাবাংলা/আরডি/আইজেকে