ধর্ষণের অভিযোগে ইমামকে হত্যা, নারীর যাবজ্জীবন
২২ নভেম্বর ২০২০ ১৮:২২
কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মসজিদের ইমাম খোকন মিয়া ওরফে মিজানুর রহমানকে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা মামলায় ময়না আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় তার ছোট ভাই মনির হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ময়নাকে দুই লাখ ও মনিরকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আজ রোববার (২২ নভেম্বর) আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, কিশোরগঞ্জ সদগর উপজেলর বৌলাই পূর্বভরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান পেশায় ইমাম ছিলেন। তিনি জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর কোনাপাড়া গ্রামের সাবেদ আলী ও নূরচান মেম্বারের পারিবারিক মসজিদে ইমামতি ও মক্তবে শিক্ষকতা করতেন। ২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে তিনটার দিকে উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে ইমাম মিজানুর রহমানের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বড়ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দণ্ডপ্রাপ্ত ময়না আক্তার ও তার ছোটভাই মনিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতে দাখিল করা অভিযোপত্রে বলা হয়, ঘটনার দিন রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান। এ সময় ময়না লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে মিজানকে হত্যা করে। পরে ময়নার ছোটভাই মনিরের সহযোগিতায় লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে একটি পরিত্যক্ত একটি জায়াগায় ফেলে রাখে। স্থানীয়রা বস্তাভর্তি লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ সেই লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।