সচিবালয় অভিমুখে শ্রমিকের ‘জবাব চাই’ মিছিলে পুলিশের বাধা
২২ নভেম্বর ২০২০ ১৯:০৩
ঢাকা: ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাজরীন গার্মেন্টস অগ্নিকাণ্ডে আহত শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি রোববার (২২ নভেম্বর) ৬৬ দিনে গড়িয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর ও ১৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী, বিজিএমই এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারীরা। এরপর এতদিনেও সরকার দাবি না মানায় আজ শ্রম মন্ত্রণালয় অভিমুখে ‘জবাব চাই’ মিছিল করেন শ্রমিকরা। দুপুরে প্রেসক্লাব থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সচিবালয়ের সামনে পুলিশি ব্যারিকেডে বাধা পায়।
শ্রমিকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলেও পুলিশের বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীরা সেখানেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন এবং মন্ত্রণালয়ে জরিনা বেগমের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠায়।
সমাবেশে আহত শ্রমিকদের নেত্রী জরিনা বেগম বলেন, ‘আমরা ভিক্ষা বা দয়া চাইতে আসিনি। আমরা আমাদের অধিকার নিতে এসেছি। আজ বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জামাই আদরে রাখা হচ্ছে আর যে শ্রমিক অর্থনীতির চাকা ঘোরায় তাদের পিষে ফেলা হচ্ছে। আমরা ঘাম ঝরিয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটাচ্ছি অথচ আমাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ সরকার দিচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে জরিনা বলেন, ‘আমাদের কষ্ট বোঝার চেষ্টা করুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনি গণভবনে থাকেন। আপনার করোনার ভয় নেই, রোদ-বৃষ্টিতে কোনো কষ্ট নেই। আমরা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে প্রেসক্লাবের সামনে বসে আছি অথচ কেউ কোনো খোঁজই নিচ্ছে না। দেলোয়ারের কেন বিচার কেন করা হচ্ছে না জবাব চাই।’
পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে এই শ্রমিকনেত্রী বলেন, ‘আগামী ২৪ নভেম্বর আমরা গণভবন অভিমুখে কাফনের কাপড় পরে জিন্দা লাশ মিছিল করব। আমরা আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত। সেদিন হয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন না হয় শ্রমিকরা দেশ অচল করে দেবে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সমন্বয়ক শামীম ইমাম, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সবুজ, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের সভাপতি শবনম হাফিজ, টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির, শ্রমিকনেত্রী আমেনা বেগমসহ অন্যরা।