Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্ক্র্যাপের বদলে এলো কনক্রিট ব্লক, দেড় কোটি টাকা পাচারের সন্দেহ


২৪ নভেম্বর ২০২০ ১৮:১৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৩৬ মেট্রিকটন স্ক্র্যাপ আমদানির ঘোষণা দিয়ে আনা ১১৫ মেট্রিকটন কনক্রিট ব্লকবোঝাই ২০টি কনটেইনার আটক করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ঘোষণবর্হিভূত বাণিজ্যিক মূল্যহীন পণ্য আমদানির মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা কাস্টমস কর্মকর্তাদের।

দেড় বছর আগে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা এসব কনটেইনার থেকে পণ্য খালাসের জন্য আমদানিকারক কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সেগুলোর কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি বাজারের সিন্দুরিয়া পাড়া এলাকার সাকুরা স্টিল লিমিটেড সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ আমদানির জন্য রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের দিলকুশা শাখায় একটি আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খুলে। ঋণপত্রে পণ্যের মূল্য দেখানো হয় ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৪ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

ওই ঋণপত্রের আওতায় ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল দুবাইয়ের জাবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি নামে একটি জাহাজ ওই চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল ঘোষণা দেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে চালানের ২০টি কনটেইনার খালাস করে বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সিসিটিসিএল-এ পাঠায়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমদানিকারক দীর্ঘদিন ধরে চালানটি খালাস করেননি। এমনকি চালান খালাসের জন্য কাস্টমসে কোনো ডকুমেন্টও দাখিল করেননি। আমরা চলতি সপ্তাহে কনটেইনারগুলো ‍খুলে কায়িক পরীক্ষা করি। এতে ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপের পরিবর্তে বাণিজ্যিকভাবে মূল্যহীন ১১৫ টন কনক্রিট ব্লক পাওয়া যায়। আমাদের সন্দেহ, আমদানিকারক হয়তো ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন অথবা তিনি রফতানিকারকের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছেন।’

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কর্মকর্তা রেজাউল।

কনক্রিট ব্লক ঘোষণা চট্টগ্রাম বন্দর স্ক্র্যাপ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর