১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চসিক নির্বাচন চান রেজাউল করিম
২৪ নভেম্বর ২০২০ ২০:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডিসেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন চেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে নির্বাচনটি স্থগিত করা হয়েছিল। চট্টগ্রামজুড়ে দ্বিতীয় দফায় করোনার আবারও ব্যাপক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার মধ্যেই চসিক নির্বাচন নিয়ে রেজাউল এ প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম ডেকোরেটার্স মালিক সমিতি, কমিউনিটি হল মালিক সমিতি ও দোকান মালিক সমিতির যৌথ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন- ওয়ার্ড অফিসগুলো সক্রিয় না থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ, নবায়ন, জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা সনদ, প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় নানা সেবা পেতে সমস্যা হচ্ছে। চট্টগ্রামের মতো বাণিজ্যিক নগরের নাগরিক সেবার সর্বোচ্চ সংস্থা সিটি করপোরেশন দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলতে পারেনা বলেও মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীরা।
জবাবে নিজের বক্তব্যে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে কিছু সংসদীয় আসনে উপ নির্বাচন হয়েছে। শুধু সংসদ নয়, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মতো স্থানীয় নির্বাচনেরও পর্যায়ক্রমে আয়োজন করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রক্রিয়ায় আমরা নিশ্চিত ধরে নিতে পারি চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনও অচিরেই অনুষ্ঠিত হবে। কমিশনের প্রতি পুরোপুরি আস্থা ও সম্মান রেখেই আগামী মাসের (ডিসেম্বর) মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই এ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।’
নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় চট্টগ্রাম ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলতান, সহ-সভাপতি নুরুল কবির, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খুরশেদ আলম, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন চৌধুরী দুলাল, চট্টগ্রাম ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল আলম চৌধুরী মিল্টন, চট্টগ্রাম কনভেনশন হল মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজন কুমার দাশগুপ্ত, পৌর জহুর হকার্স মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ১ মার্চ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয়। ৮ মার্চ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। ৯ মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের কথা ছিল।
এর মধ্যে শুরু হয় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ১২ দিন ধরে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার পর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ২১ মার্চ ভোটগ্রহণ স্থগিতের ঘোষণা দিতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় গত ৫ আগস্ট মেয়াদ শেষে বিদায় নেন চসিকের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং ৪১ জন সাধারণ ওয়ার্ডের ও ১৪ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এর আগেই অবশ্য সরকার চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে চসিকের প্রশাসক হিসেবে ১৮০ দিনের জন্য দায়িত্ব দেন। ৬ আগস্ট সুজন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেন। ফেব্রুয়ারিতে চসিক প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।