ঢাকা: মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি ও সমমান তথা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল তৈরি করা হবে— এ ঘোষণা ছিল আগে থেকেই। তবে চূড়ান্তভাবে এই ফল তৈরির পদ্ধতিটি কী হবে— সে কৌশলটি নিয়ে কাজ করছিলেন গবেষকরা। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবার সেই প্রক্রিয়াটিই স্পষ্ট করলেন।
তিনি জানালেন, এসএসসি পরীক্ষার ফলে ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসি পরীক্ষার ফলে ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের এই পরীক্ষার ফল তৈরি হবে। শিক্ষাবিদরাও এই কৌশলের পক্ষেই মত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন- এইচএসসির ফল তৈরি করতে গিয়ে ‘বেকায়দায়’ বিশেষজ্ঞ কমিটি
বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আগের সিদ্ধান্তই পুনর্ব্যক্ত করে জানান, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এই ফল প্রকাশ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাতিল হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার ফল এর পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে নির্ধারণ করা হবে। টেকনিক্যাল কমিটি আমাদের গ্রেড নির্ণয়ের জন্য একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, গ্রেড নির্ণয়ের জন্য এসএসসি পরীক্ষার ফলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ পরীক্ষার ফলের মোট নম্বরের ওপর ৭৫ শতাংশ এবং জেএসসি পরীক্ষার ফলের মোট নম্বরের ২৫ শতাংশ নম্বর যুক্ত করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন- ‘এইচএসসি হবে না এ বছর, মূল্যায়ন জেএসসি-এসএসসির ভিত্তিতে’
এদিকে, সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় জেএসসি-জেডিসি ও এসএসসি পরীক্ষা থাকলেও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যারা পড়ালেখা করেছে, তাদের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়নি। এ ক্ষেত্রে তাদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসির ফল তৈরিতে আগের পরীক্ষার সমধর্মী বিষয়ের নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। যেসব বিষয় মিল থাকবে না, তা কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে সে বিষয়ে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা একটি সর্বজনগ্রাহ্য পন্থা বের করার চেষ্টা করছি।
গত এপ্রিলে এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ অবস্থায় ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর খুলে দেওয়া যায়নি।
করোনা সংক্রমণের চলমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা শুরুর সপ্তাহখানেক আগে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব না হলে গত ৭ অক্টোবর এই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়।