Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৫৮৫০ মিটার দৃশ্যমান পদ্মাসেতু, আর বাকি ২ স্প্যান


২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৫:০৬

ঢাকা: মাওয়া প্রান্তে আরও একটি স্প্যান বসেছে পদ্মাসেতুতে। মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে এটি ছিল ৩৯তম স্প্যান। ৩৮তম স্প্যান বসানোর মাত্র ছয় দিনের মাথায় এ স্প্যানটি বসানো হলো। পদ্মাসেতুতে আর মাত্র দুইটি স্প্যান বসানো বাকি থাকলো। ৪০ ও ৪১তম স্প্যান দুইটি আগামী মাসেই বসবে বলে জানিয়েছেন পদ্মাসেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মাওয়া প্রান্তের ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৯তম এই স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে স্বপ্নের এই সেতুর ৫ হাজার ৮৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। বাকি দুইটি স্প্যানে আরও ৩০০ মিটার যুক্ত হবে এই সেতুতে।

এর আগে, সকাল ৯টায় ৩ হাজার ৬০০ টন ওজন ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’ মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানটি নিয়ে রওনা দেয়। নির্ধারিত পিলারের কাছে স্প্যান নিয়ে ক্রেনটি পৌঁছায় সকাল ৯টা ৪০মিনিটের দিকে। এরপর শুরু হয় স্প্যান বসানোর কাজ। শেষ হয় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে।

পদ্মাসেতু নিমাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানিয়েছে, মূল নদীর মধ্যেই বসবে বাকি দুইটি স্প্যান। তাদের পরিকল্পনা, ডিসেম্বরের মধ্যেই এই দুইটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ করা হবে।

এর মধ্যে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই সেতুর ১১ ও ১২ নম্বর পিলারের ওপর ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) বসানোর পরিকল্পনা আছে প্রকৌশলীদের। আর চলতি বছরের বিজয় দিবসের আগেই মাওয়া প্রান্তে শেষ, অর্থাৎ ৪১তম স্প্যানটি বসার কথা রয়েছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকে পদ্মাসেতুর সড়কপথের কাজ দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকবে। এরই মধ্যে দু’টি দল রোডওয়ে স্ল্যাব স্প্যানের ওপর জয়েন্ট দেওয়ার কাজ করছে। প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কপথ ও ৩ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষও হয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, অর্থাৎ ৬ কিলোমিটার ১৫০ মিটার দীর্ঘ এই বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এর কাঠামো। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচের অংশ দিয়ে চলবে ট্রেন। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে একই দেশের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

২০২১ সালের জুনে কাজ শেষ করে ডিসেম্বরে সেতু চালু করার লক্ষ্য সরকারের। দেশের ইতিহাসের বৃহত্তম এই অবকাঠামো নির্মাণে সরকারের খরচ প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

৩৯তম স্প্যান দুইটি স্প্যান পদ্মাসেতু মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর