‘শহিদ মিলনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গতি এনেছিল’
২৭ নভেম্বর ২০২০ ১০:২৯
নব্বইয়ে শহিদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের গতি সঞ্চার করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
তিনি বলেন, শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ দেশের মানুষকে জাগরিত করেছিল। তার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গতি সঞ্চারিত হয়েছিল। সেই আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে অবস্থিত শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে, ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাবেক ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা শিকদারসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের উত্তাল পর্বে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন রাস্তায় ছাত্র-গণআন্দোলন দমনে স্বৈরশাসক এরশাদ লেলিয়ে দিয়েছিলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। সেই বাহিনীর গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় প্রাণ হারান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা ও তৎকালীন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
ডা. মিলনের শহিদ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র-গণআন্দোলন উত্তাল রূপ ধারণ করে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। গণঅভ্যুত্থানের মুখে পরাজয় স্বীকার করেন সামরিক শাসক এরশাদ। ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ডা. মিলন ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা ডা. শামসুল আলম খান মিলন শহিদ ডা. মিলন