গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ডা. মিলনের মতো জীবন দিতেও রাজি: ইশরাক
২৭ নভেম্বর ২০২০ ১০:৪৯
নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ডা. মিলন যে গণতন্ত্রের জন্য নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন, সেই গণতন্ত্র আজও অর্জিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনে এখনো জীবন দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানানোর সময় উপস্থিত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘শহিদ মিলনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গতি এনেছিল’
প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে ডা. মিলন জীবন দিয়েছেন, শহিদ হয়েছেন। তবে তিনি যে জন্য জীবন দিয়ে গেছেন, সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ হয়নি। গত ১৩ বছরে ডা. মিলনের মতো বহু মানুষ শহিদ হয়েছেন। বহু মানুষ জীবন দিয়েছেন।
দেশে গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যদি আমাদের আবারও জীবন দিতে হয়, সেটা দিতে আমরা রাজি আছি। তারপরও গণতন্ত্র উদ্ধারের লড়াই চলবে।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, রফিক সিকদার, ড. মনিরুজ্জামান মনির, তানভির আহমেদ রবিন, আরিফা সুলতানা রুমা, নব্বইয়ের দশকের ছাত্র নেতা সাইফুদ্দিন মনি, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ অন্যরা।
পরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের নেতারা শহিদ ডা. মিলনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নেতৃত্বে সিনিয়র সহসভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, তানজিল হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের উত্তাল পর্বে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি সংলগ্ন রাস্তায় ছাত্র-গণআন্দোলন দমনে স্বৈরশাসক এরশাদ লেলিয়ে দিয়েছিলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। সেই বাহিনীর গুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় প্রাণ হারান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা ও তৎকালীন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম মহাসচিব ডা. শামসুল আলম খান মিলন।
ডা. মিলনের শহিদ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র-গণআন্দোলন উত্তাল রূপ ধারণ করে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। গণঅভ্যুত্থানের মুখে পরাজয় স্বীকার করেন সামরিক শাসক এরশাদ। ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
ইশরাক হোসেন ডা. মিলন ডা. শামসুল আলম খান মিলন বিএনপির শ্রদ্ধা শহিদ ডা. মিলন