স্বস্তি মিলছে সবজিতে, চালের বাজার অপরিবর্তিত
২৭ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৩১
ঢাকা: বাজারে কমে এসেছে সবজির দাম। কেজিতে অন্তত ১০ টাকা কমে এখন সব ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কমতি সবজির বাজারে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। তবে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আবারও কিছুটা বেড়েছে। আর আগের মতোই বাড়তি রয়েছে চালের বাজার। নতুন ধান উঠলেও বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর ) কারওয়ানবাজার সহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম আবারও কিছুটা বেড়েছে। কোন কোন দোকানে ৮০ টাকা কেজিতেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ দোকানে ৭০ টাকা। আর কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিশর ও চীনের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ২৭ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া, পাইকারি বাজারে আলু ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে আলুর দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। মহাখালীর বউ বাজারের দোকানি শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে।’
সবজির মধ্যে কারওয়ানবাজারে বেগুন ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫৯ টাকা, বটবটি ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, সিম ৫০ টাকা, টমেটো ৯০ টাকা ও গাজর ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এই বাজারের বিক্রেতা আনিস সারাবাংলাকে বলেন, ‘কিছু সবজির দাম কেজিতে অন্তত ১০ টাকা করে কমেছে। নতুন করে কোনো সবজির দাম বাড়েনি।’
এদিকে, মহাখালীর বউবাজারে সবজির মধ্যে পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেড়শ ৫০ টাকা, বটবটি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, শিম ৫০, বেগুন ৫০ টাকা ও কড়লা ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ ও গাঁজর ১০০ কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ফুলকপি ৩০ ও পাতা কপি ৩০ এবং লাউ ৫০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। আর এই বাজারে শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকা টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর লেবু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ৩০ টাকা হালিতে। এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা ও দেশি আদা ৯০ টাকা ও আলু ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। সয়াবিন তেল ১২০ টাকা লিটারে ও ডিম ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে চালের দাম আগের মতোই রয়েছে। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৪ থেকে ৫৮ টাকা, আটাশ ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক গাফফার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘চালের দাম নতুন করে আর কমেনি। বাজার কিছুটা বাড়তি রয়েছে।’
কারওয়ানবাজারের হাজী ইসমাইল অ্যান্ড সন্সের মালিক জসিম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘নতুন ধান উঠলেও চালের দাম কমেনি। ধানের দাম বাজারে বাড়তি রয়েছে। তাই চালের দামও বেশি।’
এদিকে, কারওয়ানবাজারে গরুর মাংস ৬০০ ও খাসি ৯০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ১২৫ টাকা, পাকিস্তানি কর্ক ২২০ টাকা ও সাদা কর্ক ২০০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির দাম বাজারে প্রায় অপরিবর্তিত থাকলেও পোল্ট্রির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে।