বিশ্বে প্রথম গেছো শামুকের কৃত্রিম প্রজননে সফল রাবি গবেষকদল
২৮ নভেম্বর ২০২০ ১৩:১৪
রাবি: ‘প্রকৃতির মুক্ত’ খ্যাত গেছো শামুকের কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদল। দাবি করছেন, তারাই বিশ্বের প্রথম গেছো শামুকের কৃত্রিম প্রজনন করতে সক্ষম হলেন। এতে বিলুপ্তির পথে থাকা এই শামুক সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে উপকৃত হবে পরিবেশ।
এ বছরের মার্চে শামুকটি নিয়ে গবেষণা শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার শোভনের হাত ধরে।
গবেষক ও গবেষণা সহকারি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হিল কাফি ও রুপময় তংচঙ্গা নামের দুই শিক্ষার্থী রাজশাহী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই জায়গা থেকে দুইটি গেছো শামুক সংগ্রহ করেন। গবেষণা শুরুর ৯ মাসের পরিশ্রমে এই সফলতা অর্জন হলো বলে জানান অধ্যাপক শোভন।
শামুকটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজশাহীর শামুকটি দিয়ে প্রজনন সফলতা পাওয়া গেছে। ৫ টি বাচ্চা পেয়েছি আমরা। শামুকটির আদি নিবাস আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। লিগ্যাস প্রজাতির হতে পারে বলে ধারণা করছি।
এর আগে, দেশি শামুকের বিষয়ে একটি সার্ভে করেছি। সেখানে দেখতে পেয়েছি এই গেছো শামুক খুবই দুর্লভ প্রকৃতির। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও উত্তরাঞ্চলের কিছু জায়গায় আছে। দু’বছর ধরে খুঁজছিলাম তবে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে এই শামুকগুলো।
মূলত দেশের জীববৈচিত্র সংরক্ষণের ২০১৮ থেকে চলা প্রকল্পের একটা অংশ হিসেবে এই শামুক সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছেন তিনি ও তার গবেষকদল। অধ্যাপক শোভনের সঙ্গে জাপানের কয়েকজন গবেষক বন্ধু দুই বছর ধরে এই প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করছেন।
এদিকে কেনো সংরক্ষণের প্রয়োজন পড়বে কিনা কিংবা কি উপকার পাওয়া যাবে এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক শোভন বলেন, উদ্ভিদের গায়ে কিছু ক্ষতিকর অনুজীব লেগে থাকে। সেগুলো খেয়ে উদ্ভিদকে রক্ষা করে এই শামুক।
এর আগে হাওয়াইতে ডেভিসসিসকো নামের একজন গবেষক সাধারণ শামুকের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা পান।