জেলা পরিষদ লুটপাটের প্রতিষ্ঠান— অভিযোগ লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যানের
২৮ নভেম্বর ২০২০ ২০:৩৬
রাঙ্গামাটি: পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদকে ‘লুটপাটের প্রতিষ্ঠান’ বলে অভিহিত করেছেন লংগদু উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক সরকার।
তিনি বলেন, ‘জনগণের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ। তারা জনগণের চাওয়া পাওয়ার মূল্যায়ন করে না। কিছু নেতাকর্মীর পকেট ভারি করছে তারা। এটা জেলা পরিষদ না, এটা জ্বালা পরিষদ। জেলা পরিষদ একটি লুটপাটের প্রতিষ্ঠান।’
শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাঙ্গামাটির লংগদুতে উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
লংগদু উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়ার সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা আলম। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাহিদ আক্তার, সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চাকমা, বাঘাইছড়ি উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, বগাচত্বর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মুজাফ্ফর আহামেদসহ অন্যরা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বারেক সরকার বলেন, ‘গত অর্থ বছরে বিএফডিসি’র (বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন) মাধ্যমে জেলায় দুই কোটি টাকার মৎস্য চাষের প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা জেলা পরিষদের। রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন লংগদু উপজেলায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। কিন্তু জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তা করেনি। তিনি এই দুই কোটি টাকার পুরোটাই বাঘাইছড়িতে বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু আসলে তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে, বাঘাইছড়ির নেতারা তার খবর নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা একজন সাম্প্রদায়িক লোক। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন উন্নয়নের সমবণ্টন হয়নি। জেলা পরিষদ কর্তৃক একটি প্রকল্পও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চাইতে হলে লংগদুতে বৃষকেতুকে আসতে হবে। ভোটের সময় লংগদু আর উন্নয়নের বেলায় বাঘাইছড়ি— এই নীতি চলতে পারে না।’
বারেক সরকার বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা ভালো না। যুবলীগের কমিটি নেই দুই বছর। উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেকদিন। কলেজ ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ একবছরের বেশি সময় ধরে। উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন হয়েছে প্রায় একবছর, কিন্তু এখনো অনুমোদন হয়নি। কমিটি অনুমোদনের জন্য যদি টাকা দিতে হয়, তবে আমরা তা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে আমাকে বাদ দিয়ে হলেও কমিটির অনুমোদন দিন। আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে হলে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই।’
সাংগঠনিক সভা শেষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ লংগদু উপজেলা শাখার বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে ১৭ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে মোস্তফা মিয়াকে আহ্বায়ক ও হারুনুর রশিদকে (রাইটার) যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে।
আব্দুল বারেক সরকার উপজেলা কৃষক লীগ জেলা পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান লুটপাটের প্রতিষ্ঠান সাংগঠনিক সভা