Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এইডস আক্রান্তরা পাপাচারী নয়, ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে হবে’


২৮ নভেম্বর ২০২০ ২৩:২৪

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে এইচআইভি এইডস ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের জীবনযাপন ভালো না। তাদের জীবনযাপন ইসলামিক না। এজন্য তাদের এইডস হয়েছে। তাদের প্রথমে আঙুল তুলে দেখানো হয়, সে পাপাচারে লিপ্ত ও পাপী। এ ধরণের কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য দূর করতে পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ইসলামিক প্রোগ্রামগুলোতে এইচআইভি এইডস ভাইরাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে‌।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৮ নভেম্বর) ‘এইচআইভি এইডসে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি কুসংস্কার, বৈষম্য নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট এইচআইভি এইডস ভাইরাসের অবস্থা পরিসংখ্যানগত ভাবে অনেক ভালো। তবে এটা যেকোন সময় খারাপ পরিস্থিতির দিকে যেতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতর সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে। এটা প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমের অনেক ভূমিকা রয়েছে।’ এইচআইভি‘তে আক্রান্ত জনগোষ্ঠী নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য আছে তা দূর করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর টিবি-এল ও এএসপি অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম বলেন, আ‘ট দশটা ক্রনিক ডিজিজেসের মতো এইডসও একটা রোগ। এ রোগ একেবারে সেরে যাবে না। এইচআইভিতে আক্রান্ত হলে মানুষের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তবে আজ আক্রান্ত হলে কালই যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে সেটা নয়। কারও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যেকোনো ইনফেকশনেই মৃত্যু হতে পারে। আমরা যে কাজটা করি, ওষুধ দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করি।’

রোগটা যাতে না ছড়ায় সেজন্য প্রতিরোধের ব্যবস্থা করাটাও জরুরি বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সারাদেশে ২৮টি এইচটি সেন্টার আছে। জিন এক্সপার্ট মেশিন এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে। মেশিনটি ইতিমধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তাই দ্রুত সময়ে বাকিদের শনাক্তের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে বিশ্বে মোট এইডস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৩৮ মিলিয়ন উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এইডস এসটিডি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার মো. আক্তারুজ্জামান এইডসের সর্বশেষ তথ্য উল্লেখ করে বলেন, এরমধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৮ মিলিয়ন। দেশে বর্তমানে এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এইডস/এসটিডি কর্মসূচি সম্প্রতি ইউএন এইডসের ৯০-৯০-৯০ লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ ২০২০ সালের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তদের ৯০ শতাংশকে শনাক্তের আওতায় আনা। শনাক্তকৃতদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে চিকিৎসা সেবার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং চিকিৎসা সেবায় থাকা ৯০ শতাংশের ভাইরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তব্য রাখেন অভিনয় শিল্পী মামুনুর রশীদ, আজাদ আবুল কালামসহ অন্যরা।

এইচআইভি এইডস এইডস কুসংস্কার পাপাচারে লিপ্ত বৈষম্য ভ্রান্তধারণা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর