আন্দোলনে বিভেদ, সরকারি সিদ্ধান্তের আশায় স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশ
২৯ নভেম্বর ২০২০ ১০:৩১
ঢাকা: নিয়োগবিধি সংশোধন করে বেতন-বৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের পক্ষ থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএইসএএ)। নিয়োগবিধি সংশোধন করে ১৬তম গ্রেডের পরিবর্তে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন যথাক্রমে ১১, ১২ও ১৩ তম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে ২৬ নভেম্বর থেকে নিজ নিজ কর্মস্থলে কর্মবিরতি পালন করছে সংগঠনটি।
দাবি পূরণের জন্য আন্দোলনকারীদের একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যদিকে দাবির সঙ্গে একমত হলেও দেশে বর্তমান নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে আন্দোলনের পক্ষে নেই সংগঠনটির আরেক অংশের নেতারা।
স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের এই কর্মবিরতির ফলে আগামী ৫ ডিসেম্বর হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনসহ দেশের এক লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ থাকার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ বলছে আন্দোলনকারীদের দাবি দাওয়া গুলো পূরণ করা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ চলছে। তবে যারা কর্মবিরতিতে গেছে তারা সকল বিষয়েই অবগত আছে। তাদের মাঝেই দুইটি গ্রুপ আছে। আমরা সকলের সঙ্গেই কথা বলেছি কিন্তু তাও একপক্ষ আসলে বাস্তবতা বিবেচনা না করে সরকারের কাছ থেকে ব্যাকমেইলিং করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইসএএ) কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রবিউল আলম খোকন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্য সহকারীদের কারণে বসন্ত ও ম্যালেরিয়া রোগ নির্মূল হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৯ সালের ৭ এপ্রিল চালু করা হয় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। এ কর্মসূচির আওতায় দেশের ১ লাখ ২০ হাজার আউটরিচ রুটিন টিকাদান কেন্দ্রের কর্মসূচি এককভাবে স্বাস্থ্য সহকারীদের ওপর ন্যস্ত করা হয়। টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্য সহকারীরা বর্তমানে ১০টি মারাত্মক সংক্রামিত রোগের (শিশুদের যক্ষ্মা, পোলিও, ধনুষ্টংকার, হুপিং কাশি, ডিপথেরিয়া, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও হামে-রুবেলা) টিকা দিয়ে থাকেন। আমাদের স্বাস্থ্য সহকারীরাই ২০১৩ সালে ২৫ জানুয়ারি ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী ৫ কোটি ২০ লাখ শিশুকে এক ডোজ হাম-রুবেলা টিকা সফলভাবে দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের পদোন্নতি বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী তিন থেকে সাত বছর পরপর পদোন্নতি পান। কিন্তু একজন স্বাস্থ্য সহকারী ২০ থেকে ২৫ বছরে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হতে পারেন না। পদোন্নতি পেলেও স্বাস্থ্য পরিদর্শক হতে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাতবছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে এমন সময় পদোন্নতি পান যখন চাকরির বয়স বাকি থাকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস। তবে পদোন্নতি হলেও বেতন বাড়ে না এক পয়সাও। উপরন্তু বদলি করা হয় অন্য জেলা বা উপজেলায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই দাবি আর পূরণ হয়নি। ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি তখনকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আমাদের দাবি মেনে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেন। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারিও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিব আমাদের দাবি মেনে নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো প্রতিশ্রুতিই আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি। এ অবস্থায় আমাদের দাবি মেনে নেওয়ায় আমরা ২৬ নভেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করছি। আমাদের দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেনো পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয় আমরা সেটিই আশা করি।’
২৬ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করে জানা যায়, দাবি পূরণের জন্য স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা বর্তমানে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছে। তবে এমন কর্মসূচির সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সমস্বয়ক মো. এনায়েত রাব্বি লিটন।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিব আমাদের দাবি মেনে নিয়ে বলেছেন খুব দ্রুতই তা পূরণ করা হবে। পরবর্তীতে চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যেই আমাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। এ সময় নিয়োগ বিধিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। এ দিন আমার সঙ্গে একই কাগজে স্বাক্ষর করেন শেখ রবিউল আলম। কিন্তু পরবর্তীতে করোনার কারণে বিশ্ব মহামারি পরিস্থিতিতে আসলে সেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। পুরো বিশ্বে যখন মহামারি, দেশে যখন সকল মেডিকেল কলেজ থেকে শুরু করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তখন আসলে আমাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা তো সম্ভব না। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব ও বর্তমান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সবাই আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের নিয়োগবিধির বিষয়টি খুব দ্রুতই সমাধান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এ কাজ খুব দ্রুতই করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি দাফতরিক কাজের বিষয় তাই আমরা বলেছি অপেক্ষা করার কথা। কারণ বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তো আসলে দাবি আদায় করার জন্য সরকারকে জিম্মি করতে পারি না আমরা। আমরা দেশের জন্য কাজ করে থাকি। তাহলে দেশের এমন মহামারি পরিস্থিতিতে আমরা টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে সরকারকে জিম্মিতো করতে পারি না। কিন্তু যে দাবিগুলো নিয়ে একাংশ আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আমরা কিন্তু একমত। শুধু তাদের পদ্ধতির সঙ্গে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন আছে। এ ক্যাম্পেইনে টিকা শেষ হলে সেসব স্থানে করোনা মোকাবিলার ভ্যাকসিন রাখা হবে। এমন অবস্থায় যদি ক্যাম্পেইন কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে অনেক দিকেই পিছিয়ে যেতে হবে। প্রথমত গ্যাভিসহ যারা আমাদের টিকা বিতরণ করে থাকেন তারা বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করবে। অন্যদিকে এ ক্যাম্পেইন সময়মতো শেষ করতে না পারলে সরকার করোনাভাইরাস এনে রাখার ব্যবস্থা করতে পারবে না। সবচাইতে বড় যে ক্ষতি হতে হবে তা হলো দেশে শিশুদের টিকা সময়মতো দিতে না পারলে আমাদের অনেক পিছিয়ে যেতে হবে। আমাদের কাজের কারণে দেশের প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরোর পুরস্কার পেয়েছেন। আমাদের সেই গর্বের জায়গাটিও হারিয়ে যেতে পারে কোনো ভুল হলে। তাই দাবি আদায়ের জন্য কোনো ভাবে কর্মবিরতিতে যাওয়াটা আসলে সমর্থন করতে পারছি না। আমার জানামতে, আমাদের অনেকেই কিন্তু এখনো কাজ করে যাচ্ছে।’
এ দিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবিদাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার মিটিং হয়েছে বর্তমান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আসার পরেও। বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা হয়েছে আন্দোলনকারীদের।’
এমনকি সম্প্রতি শেখ রবিউল আলম খোকন নিজেও বলে গেছেন তারা কাজ চালিয়ে যাবেন। যদিও কাগজে-কলমে কোনো লিখিত নেই কিন্তু তাও অধিদফতরের দুই এডিজি, ডিজি ও অ্যাডমিন ডাইরেক্টরের সামনেই এ বিষয়ে ইতিবাচক কথা হয়েছে। সামনে হাম-রুবেলার টিকা ক্যাম্পেইন আছে আর তাই সেটিকে সামনে রেখে আন্দোলনকারীরা বলেছে দ্রুত সমাধানের জন্য। স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সেটির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এরইমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও। তারাও আন্দোলনকারীদের দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে একমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা আবার দুই ভাগে বিভক্ত। তারা এক গ্রুপ এসে আন্দোলন করার কথা বলে আবার আরেক গ্রুপ জানিয়েছে করোনা মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন করে জনগণের ভোগান্তির কারণ হতে চায় না। কারণ সামনে হাম-রুবেলার টিকাদান ক্যাম্পেইন আছে। এ টিকাদান ক্যাম্পেইন শেষে করোনার ভ্যাকসিন আসবে। সেগুলো সেসব স্টোরেজে রাখা হবে। সবকিছু মিলিয়ে আন্দোলনকারীরা এই সুযোগটিই নিয়েছে। তারা ভাবছে এ সুযোগে ব্ল্যাকমেইলিং করে নিজেদের দাবি আদায় করার বিষয়ে। অথচ তারা এমন একটা বিষয়ে আন্দোলন করছে যেটি আসলে পূরণের জন্য এরইমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। সেই হিসেবে কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক কাজ তো আর বলে দিলেই হয়ে যায় না। সব দিক বিবেচনা করে কাজ করতে হয়। আর সেজন্য কিছুটা সময় তো লাগেই। তবে এই আন্দোলন দুর্ভাগ্যজনক।’
এ বিষয়ে বিএইসএএ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রবিউল আলম খোকন সারাবাংলাকে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব মহোদয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ওনারা জানিয়েছেন আমাদের দাবি পূরণ করা হবে। কিন্তু আমরা চাইছি আমাদের একটা সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। সেই সময়ের মধ্যেই দাবি পূরণ হতে হবে এমনটা না হলেও চলবে। দরকার হলে তখন আরও ছয় মাস সময় বাড়িয়ে নিবে। কিন্তু তাও আমরা চাইছি আমাদেরকে একটা তারিখ বা মাসের কথা বলুক যার মধ্যে দাবি পূরণ করা হতে পারে।’
স্বাস্থ্য সহকারীদের আন্দোলনের প্রভাব জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে পড়ছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে কাজ স্বাভাবিকভাবেই চলছে। সামনে হাম-রুবেলার ক্যাম্পেইন আছে। আশা করছি এর আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান করে ফেলবেন। আমাদেরকে বর্তমানে যেভাবে নির্দেশনা দেবেন আমরা সেভাবেই কাজ করে যাবো।’
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মা, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমাদের এর আগেও কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই তাদের সঙ্গে আবার বসব। হয়তোবা সোমবার দিন তাদের সঙ্গে আমাদের একটা মিটিং হতে পারে। আশা করছি খুব দ্রুতই সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আপনারা জানেন আমি আসার আগে থেকেই এটি নিয়ে আসলে কাজ হচ্ছিল। আমি আসার পরেও আন্দোলন যারা করছে তাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা এ বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে পারব।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা তাদের দাবি দাওয়া সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করি। বর্তমান করোনা মহামারির সময়ে আমরা সবাই দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এ সময় আসলে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। যারা আন্দোলন করছেন তারাও বিষয়টি জানেন। একই সঙ্গে তাদের যে দাবি দাওয়া সেগুলো নিয়েও আমরা কথা বলেছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই বিষয়টি সমাধান হবে।’