আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ছে না
২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৩:৪৮
ঢাকা: এ বছর আয়কর রিটার্ন দাখিলে সময় বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো রহমাতুল মুনিম। রোববার ( ২৯ নভেম্বর) সকালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান মুনিম বলেন, ‘এ বছর আমরা রিটার্ন দাখিলে সময় বাড়াচ্ছি না। আমাদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আয়করের ক্ষেত্র আমরা বাড়াতে পারেনি। এই কারণে আমাদের আয়কর বিভাগের প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের ভেতরে সচেতনতা প্রয়োজন। জনগণ যদি মনে করে আয়কর প্রদান একটি সামাজিক মযার্দার বিষয় সেটি বুঝলে আয়কর বাড়বে। জনসচতেনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় আয়কর দিবস পালন করা হচ্ছে আর ২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলা করা হচ্ছে। এবার করোনার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিয়ষটি মাথায় রেখে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়কর মেলা করা হয়নি। সেজন্য আমরা প্রতিটি জোনে এবং সার্কেলে মেলার আবহ তৈরি করতে চেয়েছি। সেই সার্কেল এবং জোন থেকে আয়কর সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই জোন এবং সার্কেলে রিটার্ন দিতে করদাতাদের তেমন কোন অভিযোগ ছিলো না। কেন্দ্রীয় মেলার চেয়ে কম সময়ে করদাতারা সেবা পেয়েছেন। তবে এই অভিযোগ আসেনি কেন্দ্রীয় মেলার চেয়ে এখানে কেউ কম স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমরা মেলায় ব্যাংক সার্ভিসটা দিতে পারেনি। তবে সেটার জন্য করদাতাদের কোনো অভিযোগ ছিলো না। এবার সরকার এ চালান (ইলেকট্রনিক চালান)চালু করেছে যার মাধ্যমে ব্যাংকেও করাদাতাদের যেতে হবে না। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে সবকিছু করতে পারবেন তথা ব্যাংকের যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মেলায় ব্যাংকের যে সেবা পাওয়া যাচ্ছে না সেটার অভাব আর থাকবে না। এ চালান হচ্ছে গ্রাহক ব্যাংকে না গিয়ে তার চালান সংগ্রহ করতে পারবে। ৩০ নভেম্বর আমরা আয়কর দিবস পালন করব। এবার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রেখে সীমিত পরিসরে এবার আয়কর মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সাজসজ্জা ও অন্যান্য বিষয় এবার পরিহার করা হয়েছে। আগামীকাল আয়কর দিবসের র্যালী হচ্ছে না। তবে আলোচনা অনুষ্ঠান ক্ষুদ্র পরিসরে হবে এবং বাকিটা অনলাইনের মাধ্যমে হবে। এবারের আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, উন্নত সেবার মাধ্যমে আয়করের আওতা বৃদ্ধি।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের করসেবা যতো স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে ততো করদাতাদের কর প্রদান সহজ হবে। একই সাথে করের আওতা বৃদ্ধি পাবে। ট্যাক্স নেট বৃদ্ধি পাবে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের রিটার্ন দাখিল হয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫টি আর গত বছর এই সময়ে রিটার্ন দাখিল হয় ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৬টি। অর্থাত্ রিটার্ন দাখিল এবার ৭০ হাজার বেশি হয়েছে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘রিটার্ন দাখিলের জন্য কমিশনারের কাছে সময় চাইলে কমিশনার সময় দেবে। আর জরিমানাটা বাধ্যতামূলক নয় এটা কমিশনারের ওপর নির্ভর করছে। তবে করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সঠিক যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে কমিশনার জরিমানা নিতেও পারেন আবার মওকুফ করতেও পারেন। আর জরিমানার বিষয়টি নমনীয়ভাবে দেখার জন্য বলা হয়েছে।’
আলোচনাসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআর সদস্য (করনীতি) মো আলমগীর হোসেন, সদস্য অপূর্ব কান্তি দাশ ( কর আপিল ও অব্যাহতি), সদস্য হাফিজ মোর্শেদ (কর আধুনিকায়ন) এ ছাড়া কাস্টম ও ভ্যাটের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।