নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনের মামলার প্রতিবেদন ৫ জানুয়ারি
২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৭:০৬
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
রোববার (২৯ নভেম্বর) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি৷ এজন্য বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন পরবর্তী প্রতিবেদনে দাখিলের জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, নুরুল হক নুর গত ১২ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে তার ফেসবুক আইডি থেকে যে ভিডিও প্রকাশ করেন, সেখানে তিনি বাদী সম্পর্কে যেভাবে কথা বলেছেন, তা অপমানজনক, মানহানিকর এবং আক্রমনাত্মক।
আরও বলা হয়, আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদ নামীয় একটি সংগঠনের নেতা। তার এমন উসকানিমূলক বক্তব্যগুলো আক্রমণাত্মক, বিরক্ত, অপমান, অপদস্ত ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে প্রকাশ ও প্রকাশ করে বাদীকে ও তার পরিবারকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বা সমাজের সঙ্গে শত্রুতা ও ঘৃণা সৃষ্টি করে সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়। বাদীর সুনাম নষ্ট করে ও মানহানি করে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এজাহারে বাদী বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে গত ১১ অক্টোবর শাহবাগ থানায় বাদী মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন বাদী। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, ঘটনা ঘটার একদিন আগেই বাদী থানায় মামলা দায়ের করতে থানায় যান। এসময় নুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ এই ছয়জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) হামলার ইস্যুতে ভিপি নুরুল হক নুরসহ ২৯ জনের নামে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। মামলাটির এজাহার দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বি এম সাব্বির।