মোবাইল ‘হারিয়ে’ পুলিশের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে ধরা
২৯ নভেম্বর ২০২০ ১৮:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে মোবাইল ‘হারানো’র পর চেকপোস্টে গিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে ধরা পড়েছেন এক যুবক। নাটক সাজিয়ে ওই যুবককে পুলিশের কাছে নিয়ে যাওয়া আরেক জনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার (২৯ নভেম্বর) সকালে নগরীর আকবর শাহ থানার সিটি গেইট চেকপোস্টে এ ঘটনার পর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-পশ্চিম) এ এ এম হুমায়ুন কবির।
গ্রেফতার দু’জন হলেন- মো. জাবেদ হোসেন (২০) এবং মো. রিপন (৩৫)। দু’জনের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায়।
এডিসি হুমায়ুন কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে জাবেদ ও রিপন চেকপোস্টে আসেন। জাবেদ অভিযোগ করেন, গত (শনিবার) রাতে তাকে চেকপোস্টে বসিয়ে মারধর করে পুলিশ সদস্যরা তার আইফোন কেড়ে নিয়েছেন। চেকপোস্টে সেসময় এসআই আমিরুল দায়িত্বরত ছিলেন। তাকে জাবেদ বলেন, আইফোন ফেরত না দিলে তিনি সিএমপি কমিশনার এবং আইজিপিকে নালিশ করবেন। আমিরুল আকবর শাহ থানার পরিদর্শক-তদন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে জাবেদ ও রিপনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা নাটক সাজানোর বিষয়টি স্বীকার করেন।’
জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এডিসি হুমায়ুন জানান, শনিবার বিকেলে সলিমপুর সিডিএ আবাসিক এলাকার শাহজাহান নামে এক যুবক পূর্বপরিচিত জাবেদকে একটি মোবাইল সেট দিয়ে সেটির লক খুলে আনতে বলেন। জাবেদ সেটি নিয়ে অলঙ্কার মার্কেটে মোবাইল মেরামতের দোকানে যান। কিন্তু সেখানেও লক খুলতে ব্যর্থ হয়ে জাবেদ যখন ফিরছিলেন তখন তার পরিচিত দুই যুবক তার কাছ থেকে মোবাইলটি কেড়ে নেয়। জাবেদ মোবাইল সেটটি চুরি করে এনেছে অভিযোগ করে দুই যুবক তাকে পুলিশের কাছে দেওয়ার ভয় দেখায়।
‘জাবেদ মোবাইলটি দুই যুবককে দিয়ে এসে শাহজাহানের তোপের মুখে পড়েন। শাহজাহান বারবার মোবাইল ফেরত চাইলে জাবেদ তার বন্ধু বিজয়ের শরণাপন্ন হয়। বিজয় তাকে সেটি পুলিশ কেড়ে নিয়ে রেখে দিয়েছে বলে নাটক সাজানোর পরামর্শ দেন। তখন তাদের পরিচিত রিপন জাবেদকে নিয়ে চেকপোস্টে আসেন। জাবেদ ও রিপন দু’জনেরই আচরণ ছিল সন্দেহজনক। মূলত শাহজাহানকে মোবাইলটি আর ফেরত না দেওয়ার জন্যই তারা পুলিশকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করেন। জাবেদ ও রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইফোনটির উৎস এবং কারা সেটি ছিনিয়ে নিয়েছে সেগুলোসহ বিভিন্ন বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছেন এডিসি হুমায়ুন কবির।