মাকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা: সৎ ছেলের দোষ স্বীকার
৩০ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৩৫
ঢাকা: রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় সীমা নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার পর আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার সৎ ছেলে এস এম আশিকুর রহমান নাহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারিফুজ্জামান আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ঘটনায় আরও ৫ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন- ঢাকার আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- জাকিয়া সুলতানা আইরিন (২২), আসেক উল্লা (৫০), রোকেয়া বেগম (৪০), শাহজাহান শিকদার (৫০) ও সাকিব (২০)।
স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে সৎ ছেলে ও তার স্ত্রী সীমা নামের ওই নারীকে হত্যা করেছে।
স্বজনরা আরও জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই সৎ ছেলে নাহিদের সঙ্গে সীমার পারিবারিক কলহ চলছিলো। শনিবার রাতে বাসায় এ বিষয়ে পারিবারিক বৈঠকও হয়। তাদের ধারণা পারিবারিক বিরোধের কারণেই সৎ ছেলে নাহিদ, সীমাকে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, সীমাকে কুপিয়ে হত্যার করার পর তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে কাফরুল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।