বর্ষার আগেই খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে: তাপস
১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৩৬
ঢাকা: ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে (সিএস) খতিয়ান দেখে রাজধানী ঢাকার খালগুলো সীমানা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, ‘আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই নিজ অর্থায়নেই আমরা এই খালগুলো দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবো।’
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ত্রিমুহনী জিরানী খাল ও শ্যামপুর খালের চলমান বর্জ্য অপসারণ ও সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতার একটি মূল কারণ হলো- ঢাকার মধ্যদিয়ে যেসব খাল প্রবাহিত সেই খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলো অবৈধ ভূমি দস্যুরা যেমন দখল করেছে তেমনি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার করা হয়নি।’
মেয়র বলেন, ‘আপনারা জানেন কিছু দিন আগেই আমাদের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর নেতৃত্বে সভার মাধ্যমে এই খালগুলো ঢাকা ওয়াসা থেকে সিটি করপোরেশনকে দেওয়া হয়েছে। তাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় যে ১১টি খাল রয়েছে সেই খালগুলো পুনঃরুদ্ধার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম আমরা আরম্ভ করেছি।’
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আমরা স্বাল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। স্বল্প মেয়াদী কার্যক্রম আমরা নিজ অর্থায়নেই শুরু করে দিচ্ছি। পরবর্তীতে রক্ষণাবেক্ষণ ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আমরা দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজটি শেষ করবো। মূলত প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে খালে যেসব দখল রয়েছে সেটা মুক্ত করা।’
খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা ওয়াসার যে সব জনবল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে খালের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কাছে সেসব হস্তান্তর করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরা সভায় উল্লেখ করেছি যেটুকু জনবল ও যন্ত্রপাতি আমাদের প্রয়োজন হবে আমরা সেগুলো বিচার বিশ্লেষণ করে নেব। এ ব্যাপারে যে কমিটি করে দেওয়া হবে তারা সেটা পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট রূপ রেখা দেবে সেই আলোকে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
এর আগে তিনি জিরানী খাল পরির্শনে গিয়ে ওই এলাকায় একটি গাছের চারা পোপন করেন। পাশাপাশি স্থানীয় নাগরিকদের দাবির প্রেক্ষিতে সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের আশ্বাস দেন।