৯৯৯-এ কল পেয়ে সাজেকে পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া পর্যটককে উদ্ধার
১ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:৪০
রাঙ্গামাটি: স্বামী আব্দুল ওহাব ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার ‘সাজেক ভ্যালি’তে বেড়াতে গিয়েছিলেন রোকসানা আক্তার লাকী (৩৮)। সাজেক থেকে পাহাড়ের নিচে ঝরনা দেখতে নামছিলেন তারা। দুই হাজার ফুট নিচে নামার পর হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে ফেলেন রোকসানা। উপায়ান্তর না দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন তাদের স্বজনরা। কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে তাকে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ৯৯৯-এ কল পেয়ে সাজেকে অবস্থিত লুইলুই পুলিশ ক্যাম্প প্রধান উপপরিদর্শক (এসআই) মুশফিকুর রহমান স্থানীয় জনগণের সহায়তা রোকসানা আক্তারকে উদ্ধার করতে নেমে পড়েন। ঘণ্টা দেড়েক পর রোকসানাকে উদ্ধার করে আনেন তারা।
জাতীয় জরুরি সেবা থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রোকসানার বোন শান্তা ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’-এ ফোন করে জানান, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালি বেড়াতে গিয়েছিলেন তারা। সকালে সাজেক ভ্যালির রুইলুই পাড়া থেকে দুই-আড়াই ঘণ্টার হাঁটা দূরত্বে কমলক ঝরনা দেখতে গিয়েছিলেন। ঝরনায় যেতে তাদের সরু পাহাড়ি প্রায় খাড়া ঢালু পথ বেয়ে নামতে হয়েছে। প্রায় দুই হাজার ফুট নিচে নামার পর এক পর্যায়ে তার বোন পা হড়কে পড়ে যান। কিছুদূর গড়িয়ে তার বোন কোনোমতে পতন ঠেকাতে পারলেও পা ভেঙে যায় এবং তার বোন যন্ত্রণায় কাৎরাচ্ছিলেন। আহত বোনকে নিয়ে খাড়া সরু পাহাড়ি পথ বেয়ে ওঠা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
এ অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবায় কল করার পর লুইলুই ক্যাম্প পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় বাঁশের মাচা তৈরি করে রোকসানাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে লুইলুই ক্যাম্প পুলিশ তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য রোকসানাকে খাগড়াছড়ি সদরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
লুইলুই পুলিশ ক্যাম্প প্রধান এসআই মুশফিকুর রহমান বলেন, ৯৯৯ নাম্বার থেকে কল পাওয়ার পরপরই আমরা আহত ওই নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত আমরা তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
জাতীয় জরুরি সেবায় কল করে দ্রুত সেবা পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রোকসানা-ওহাব দম্পতি।