ইউরেনিয়াম মজুত বাড়াতে ইরানে নতুন আইন
৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:৪৯
ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়াতে ইরানের পার্লামেন্টে একটি নতুন আইন পাস হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দুই মাসের মধ্যে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা না তুলে নিলে দেশটি ইউরেনিয়ামের মজুত ২০ গুণ পর্যন্ত বাড়াতে পারবে। খবর বিবিসি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি এই আইন প্রয়োগের বিরোধী। এর ফলে ইরানের ওপর কূটনৈতিক চাপ আরও বাড়তে পারে।
এদিকে ইরানের অধিকাংশ আইন প্রণেতা বলছেন, ইসরায়েল যে ভাবে চক্রান্ত করে দেশটির পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদেহকে হত্যা করেছে, তারপর এমন আইন ছিল প্রয়োজনীয়।
এর আগে, ২০১৫ সালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করেছিল ইরান। ওই চুক্তি অনুসারে, পরমাণু পরীক্ষার জন্য তিন দশমিক ছয় সাত শতাংশের বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করতে পারতো না দেশটি।
কিন্তু, নতুন পাস হওয়া আইনের মাধ্যমে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম দেশের দুইটি পরমাণু কেন্দ্রে মজুত করে রাখার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যার মাধ্যমে যে কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হবে।
আইনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘও ওই পরমাণু কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করতে পারবে না।
এছাড়াও, দুই মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে ইরান ইউরেনিয়াম মজুত প্রক্রিয়ায় যাবে বলে ওই আইনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে সই করা চুক্তি অনুযায়ী ইরান শুধু পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাতে পারবে না। তাছাড়া, আন্তর্জাতিক নজরদারির মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি (বিদ্যুৎ উৎপাদন, চিকিৎসা) চালু রাখার অধিকার দেশটির রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইরানের পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় এবং ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, চুক্তিতে থেকেও ইরান পরমাণু অস্ত্রের গোপন পরীক্ষা চালাচ্ছে। ইরান অবশ্য কখনোই তা মানতে চায়নি।
সর্বশেষ, ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যার ঘটনায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাওয়ার পর দেশটি নতুন এই আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হলো।
ইরান ডোনাল্ড ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা পরমাণু কর্মসূচি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি যুক্তরাষ্ট্র