বরিশাল: বরিশালে ৮ বছরের শিশুকে ধষর্ণের পর হত্যা ও মৃতদেহ গুমের ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালু নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত কালু বরিশাল নগরীর এয়াপোর্ট থানাধীন কাশিপুরের গণপাড়া এলাকার মৃত ওয়াহাব খানের ছেলে।
আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড, অপহরণের ঘটনায় যাবজ্জীবন এবং মৃতদেহ গুমের ঘটনায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া আসামির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেড় লাখ টাকা ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১১ মার্চ পূর্ব গণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয়ে যায়। বিদ্যালয়ের শৌচাগার বন্ধ থাকায় সে স্কুলের পাশে কালুর বাড়ির টয়লেট ব্যবহার করতে যায়। এ সময় কালু ওই শিশুকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। এরপর শিশুটিকে হত্যা করে মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে একই এলাকার হালিম মাস্টারের বাড়ির গোরস্থানে ফেলে রাখে।
ঘটনার দুদিন পর ১৩ মার্চ ওই গোরস্তান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে আসামির নাম উল্লেখ করে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এয়ারপোর্ট থানার ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান মুকুল আদালতে চার্জশিট দেন। আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দিলেন।