ভারতে উত্তর প্রদেশ রাজ্যের বেরিলি জেলায় এক হিন্দু নারীকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করেছেন, এমন অভিযোগে ২২ বছর বয়সী ওয়াইস আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খবর বিবিসি।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক টুইটার বার্তায় ওই যুবক গ্রেফতার হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, কথিত ‘লাভ জিহাদ’ ঠেকাতে উত্তর প্রদেশে নতুন ধর্মান্তরবিরোধী আইনে ওই যুবককেই প্রথম গ্রেফতার হলেন। ভারতে মুসলমানরা পরিকল্পিতভাবে হিন্দু নারীদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করছে বলে ভারতের চরমপন্থি বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে। বিয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত করার এ প্রক্রিয়াকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অ্যাখ্যা দিচ্ছে তারা।
সম্প্রতি চরমপন্থি হিন্দুদের চাপের মুখে উত্তর প্রদেশে নতুন এ ধর্মান্তররোধী আইন হয়েছে। ওই আইনকে সমালোচকরা ‘ইসলামোফোবিক আইন’ নামে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, শুধু উত্তর প্রদেশই নয়, ভারতের আরও অন্তত চারটি রাজ্য ধর্মান্তরবিরোধী আইন পাসের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ওদিকে, যে নারীকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই নারীর বাবা বিবিসিকে জানিয়েছেন, যুবকটি তার মেয়েকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য ‘চাপ দিচ্ছিল’ এবং তার কথা না শুনলে ‘ক্ষতি করার’ও হুমকি দিচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়েই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, গ্রেফতার যুবকের সঙ্গে এক সময় ওই নারীর প্রেম ছিল। যদিও, তিনি চলতি বছরের শুরুতে অন্য আরেকজনকে বিয়ে করেন।
পুলিশের বরাতে বিবিসি জানাচ্ছে, ওই নারীর পরিবার এক বছর আগেও এই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেছিল। তবে, অভিযোগের সত্যতা না মেলায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ওই যুবককে ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। যুবকটি সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি তার সঙ্গে ওই নারীর এখন কোনো যোগাযোগ নেই বলেও দাবি করেছেন। জামিন অযোগ্য এ আইনে দোষী সাব্যস্ত হলে যুবকটির সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।