Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যমুনার ভাঙন ঝুঁকিতে পয়লা প্রাথমিক বিদ্যালয়


৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১০:০৫

সিরাজগঞ্জ: অসময়ে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের তাণ্ডবে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চর সলিমাবাদ গ্রামের পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এদিকে, স্কুলটির নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ঠেকাতে নদীভাঙন কবলিত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা দিয়ে ডাম্পিং করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী, স্কুলের শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক সারাবাংলাকে জানান, ওই এলাকার মানুষ নদী ভাঙনে নিঃস্ব, অসহায় ও হতদরিদ্র। তাদের পক্ষে পয়সা খরচ করে দূরের কোনো স্কুলে ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করানোর সামর্থ্য নেই। স্কুলটি ভেঙ্গে গেলে তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই স্কুলটিকে ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করা অতি জরুরি।

পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা।

অন্যদিকে, পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন সারাবাংলাকে জানান, এই স্কুলে চার গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের ১০৯ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। আশেপাশে আর কোনো স্কুল নেই। তাই এই স্কুলই তাদের একমাত্র ভরসা।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এবং মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে স্কুলটি রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

স্কুলটির সামনের ভাঙন কবলিত স্থানগুলোতে কিছু বালুর বস্তা ফেলে ডাম্পিং করা গেলে, এ বছর স্কুলটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। এ বিষয়টি তিনি চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি – বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কাহ্হার সিদ্দিকী সারাবাংলাকে বলেন, এই স্কুলসহ চৌহালী উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম যমুনা নদীর ভাঙনের মুখে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। অথচ, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে, এই স্কুলসহ শত শত ঘরবাড়ি, বিভিন্ন স্থাপনা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ওদিকে, চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর ফিরোজ সারাবাংলাকে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানোর পরও তারা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আপাতত স্কুল ঘরটি ওই স্থান থেকে সরিয়ে নিরাপদ কোনো স্থানে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভাঙন কবলিত স্কুলের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ভাঙন রোধে অচিরেই ওই এলাকায় জিওটেক্স বালুর বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া, ওই এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য সাড়ে ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেওয়া আছে। প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

টপ নিউজ নদী ভাঙ্গন পানি উন্নয়ন বোর্ড যমুনা সিরাজগঞ্জ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:৫০

সম্পর্কিত খবর