হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনে অংশ না নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০৯:৪৫
ঢাকা: চলতি মাসে শুরু হতে যাওয়া হাম-রুবেলার টিকাদান ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের যেসব কর্মচারী অংশ নেবেন না, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ছয় সপ্তাহব্যাপী এ ক্যাম্পেইন শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ড. শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমামের সই করা এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীন উপজেলার মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও ইপিআই টেকনিশিয়ানসহ তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আসছেন। এমনকি হাম-রুবেলার মতো একটি জাতীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
পরিপত্রে বলা হয়, হাম-রুবেলা ক্যাম্পইন জাতীয়ভাবে পালিত একটি বিশেষ কিকাদান কর্মসূচি। এ কর্মসূচি সফল বাস্তবায়নের সঙ্গে দেশের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ শিশুদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি জড়িত। বাংলাদেশের টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বে অত্যন্ত সফল একটি কর্মসূচি হিসেবে সমাদৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। কিছু স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মসূচি অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত এবং চাকরিবিধির পরিপন্থী। এর ফলে দেশে-বিদেশে স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ক্যাম্পেইন চলাকালীন কার্যক্রম ব্যাহতের চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী আইন ২০১৮ এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার অধিদফতরকে অবহিত করতে হবে।
এর আগে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাম নির্মূল ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্যাম্পেইন চলাকালে সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে। চলমান কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি বিবেচনা করে দেশে বিদ্যমান শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার পালন ও সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নিয়মাবলী যথাযথ প্রতিপালন সাপেক্ষে ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করা হবে।
ইপিআই-এর অন্যান্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ২০২২ সাল নাগাদ জাতীয় পর্যায়ে হাম-রুবেলা টিকার কাভারেজ শতকরা ৯৫ ভাগে উন্নীত করা এবং ২০২৩ সাল নাগাদ হাম-রুবেলা দূর করা অন্যতম। আর হাম-রুবেলা রোগ ও এর জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সঠিক সময়ে শিশুকে হাম-রুবেলা (এমআর) টিকা দেওয়া। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে শিশুদের ৯ মাস ও ১৫ মাস বয়সে মোট ২ ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হয়ে থাকে।
ক্যাম্পেইনে অংশ না নেওয়া শাস্তি স্বাস্থ্য অধিদফতর স্বাস্থ্য সহকারী হাম-রুবেলা হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন