Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্বেচ্ছাসেবকদের স্বীকৃতি ও কাঠামোতে আনতে নীতিমালা হবে: তাজুল


৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:২৮

ঢাকা: দেশে স্বেচ্ছাসেবকদের স্বীকৃতি এবং একটি কাঠামোতে আনতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বেচ্ছাসেবা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রিয়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো, প্রধানমন্ত্রীর কার‌্য্যলয়ের সচিব ও পিপিপিএ সিইও সুলতানা আফরোজ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে স্বেচ্ছাসেবকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। করোনাকালীন সময়ে বিষয়টি আরও দৃশ্যমান হয়েছে। এইসব স্বেচ্ছাসেবকদের স্বীকৃতি ও জাতীয় কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে সরকার একটি নীতিমালা করতে যাচ্ছে। দেশের যেকোনো দুর্যোগময় সময়ে স্বেচ্ছাসেবরকা সবার আগে এগিয়ে আসে। তাদের এই কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সারাদেশে হাজার হাজার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি রয়েছে। এসব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠিত করতে হবে। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবহার করা হয়।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। আমরা নিজেরাই জনসংখ্যার চাপে হিমশিম খাচ্ছি। রোহিঙ্গারা এই দেশের নাগরিক নয়, তারা মিয়ানমারের নাগরিক। মানবিক কারণে তাদেরকে জায়গা দিতে হয়েছে। কক্সবাজারে স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে তাদের ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে রাখার জন্য নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও তাদেরকে স্থায়ীভাবে রাখার কোনো সুযোগ নেই।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘‘স্বেচ্ছাসেবকদের কাজকে বলা হয, ‘নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানো’। এই মহৎ কাজটিই তারা করে থাকেন। এই কাজের জন্য তারা কোনো পারিশ্রমিক নেন না।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে জাপানের লোকেরা সবচেয়ে বেশি স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করেন। তারা রাস্তাঘাট পরিষ্কার, হাসপাতালে সেবা দেওয়া, চিড়িয়াখানায় পশুদের যত্ন করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে থাকে। এই ধরনের কাজের জন্য তাদের কোনো পারিশ্রমিক দিতে হয় না।’

মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের একটা সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেশের যেকোনো প্রাকৃতিক বিপদের সময়ে স্বেচ্চাসেবকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। এটাই আমাদের ঐতিহ্য।‘

জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে নেওয়ার একটি অস্থায়ী প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি কোনো স্থায়ী সমাধান না। আমরা মনে করছি কক্সবাজারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তাদেরকে ভাসানচরে নেওয়া হয়েছে।’

সভায় সারাদেশ থেকে বাছাই করা ৪০৬ জন স্বেচ্ছাসেবক থেকে ১৫ জন শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবকের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

তাজুল ইসলাম নীতিমালা স্বেচ্ছাসেবক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর