ঢাকা: গণপ্রতিরোধের মুখে পড়ে রাজনৈতিক ধর্মব্যবসায়ীরা ফতোয়াবাজি দিয়ে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন। এসময় তিনি ফতোয়াবাজদের পাকিস্তান গিয়ে জিন্নাহর ভাস্কর্য হারাম বলে ভাঙার ফতোয়া দিতে বলেন।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) পার্টির পলিটব্যুরোর সাবেক সদস্য কমিউনিস্ট নেতা কমরেড শফিউদ্দীন আহম্মেদের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় কমরেড সিরাজুল ইসলামকেও স্মরণ করা হয়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে যখন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে সমস্ত দেশবাসী রুখে দাঁড়িয়েছিল, তখন এরাই ফতোয়া দিয়েছিল মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার অর্থ হবে মসজিদ ভাঙার সমান। তাদের প্রতি আমার পরামর্শ হলো পাকিস্তান গিয়ে জিন্নাহর ভাস্কর্য হারাম বলে ভাঙার ফতোয়া দিন। ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানে জিন্নাহর ভাস্কর্য থাকতে পারলে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হবে এটা হতে পারে না। আসলে তারা তাদের অতীত ভুলতে পারেনি।’
‘প্রধানমন্ত্রী যেমন পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে একাত্তরে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তেমনি এদেরকেও তাদের একাত্তরের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা বলেন, ‘সব আলেমদের ফতোয়া দেওয়ার আইনগত কোনো অধিকার নেই। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে আদেশ দিয়েছিলেন, একমাত্র ইসলামী ফাউন্ডেশনই ফতোয়া দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। তারা এখানেও আইন ভাঙলো, আমরা আশা করি তাদের আইন ও সংবিধানবিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি কমরেড নজরুল হক নিলু। সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতানের সঞ্চালনায় জেলা নেতা মোজাম্মেল হক ফিরোজ, জাকির হোসেন, ফাইজুল হক বারি ফারাহিন, গোলাম হোসেন, শাহিন হোসেন, এইচ এম হারুন, দিলিপ রাজা, ছাত্র মৈত্রী নেতা শামিল শাহরোখ তমাল, মিন্টু দেসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।