আজ থেকে দেশে আসা যাত্রীদের জন্য করোনা সনদ বাধ্যতামূলক
৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:২৫
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে দেশে সংক্রমণ রোধে বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ পুনরায় বাধ্যতামূলক করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রুপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, দেশে আসতে চাইলে যাত্রীদের অবশ্যই ৭২ ঘণ্টা আগের করোনামুক্তির সনদ লাগবে। যেসব যাত্রী সনদ জোগাড় করতে পারবেন না তাদের টিকিট-ভিসা থাকলেও বোর্ডিং কার্ড ইস্যু করবে না সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর থেকে) থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। ফলে দেশি-বিদেশি কোনো এয়ারলাইন্স কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো যাত্রীকে বাংলাদেশে আনতে পারবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশে আসার আগে সব যাত্রীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ এলে তবেই তারা বাংলাদেশে আসার অনুমতি পাবেন। বিমানবন্দরে সেই মেডিকেল সনদ দেখাতে হবে যাত্রীদের। এরপর বিমানবন্দরে যাত্রীদের সবার তাপমাত্রা পরীক্ষাসহ মেডিকেল স্ক্রিনিং করা হবে।
কারও মধ্যে করোনা লক্ষণ কিংবা উপসর্গ দেখা গেলে করোনা নেগেটিভ সনদ থাকলেও তাকে সরাসরি নির্ধারিত হাসপাতালে নিয়ে পরীক্ষা করে চিকিৎসা দেয়া হবে এবং আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয় নির্দেশনায়।
নির্দেশনায় জানানো হয়, যাদের মধ্যে উপসর্গ থাকবে না- তাদের বাড়ি ফিরে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। বাংলাদেশি শ্রমিক, যাদের বিএমইটি কার্ড আছে, তারা যে দেশ থেকে আসবেন, সে দেশের পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা সহজলভ্য না হলে, তারা অ্যান্টিজেন বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য পরীক্ষার সনদ নিয়ে দেশে আসতে পারবেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, বাংলাদেশে অবস্থানরত কূটনৈতিক মিশনগুলোর কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও পিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে এবং সেই পরীক্ষা যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করাতে হবে। বিদেশি উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদেরও বাংলাদেশে আসতে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হবে। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যদি তাদের উপসর্গ না দেখা যায় এবং তারা যদি বাংলাদেশে ১৪ দিনের কম সময় অবস্থান করেন, তাহলে তাদের বাংলাদেশ ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া হবে।কিন্তু ভাইরাসের উপসর্গ থাকলে তাদেরও পরবর্তী পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন সেন্টার ও হাসপাতালে পাঠানো হবে।
শিডিউল বাণিজ্যিক ফ্লাইট ছাড়া রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ত্রাণ, মানবিক সাহায্য, প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরত আনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত কূটনৈতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না বলেও জানানো হয় বেবিচকের নির্দেশনায়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে যাবেন, তাদের সে দেশ ও এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। কোনো দেশে যাওয়ার জন্য করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক হলে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করাতে হবে।
বিমানবন্দরে কর্মরতদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ছাড়াও যাত্রী, ক্রু, উড়োজাহাজ জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নির্দেশনায়।