‘শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তির হাত ধরতে হবে’
৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:২৭
ঢাকা: প্রযুক্তিকে পাথেয় করে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিক্ষাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।’
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘কোভিট ১৯ সহনশীলতা: বাংলাদেশের কৃষির ভূমিকা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারির সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসানসহ আরও অনেকে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করছি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিগগিরই ‘নলেজ হাব’ এ পরিণত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এদেশের জনশক্তি জনসম্পদে পরিণত হবে, তবেই আমাদের দেশ জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ শিক্ষা, কৃষিসহ সকল ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়েছে। সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ এক অনন্য উচ্চতায় আসীন। এ অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেছেন, ‘কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, নানামুখী কৌশলে রোগবালাই দমন, কৃত্রিম উপায়ে শাক-সবজি ও মাছচাষ, ছাদ কৃষি প্রভৃতির মাধ্যমে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এই খাতে, যার সিংহভাগ অবদান ময়মনসিংহে অবিস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। কেন না, কৃষিক্ষেত্রে যত ধরনের উদ্ভাবন ও নতুন জাত তৈরি করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা, তাদের অধিকাংশই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী। এ জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষিবিদ তৈরির আঁতুড় ঘর বলা হয়।‘
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কৃষিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের বিকল্প নেই।’ তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃষিবিদদের ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তি খাত থেকে ২০২০ সালে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে, আগামী বছর সেটিকে ৩ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা গবেষণা ও উন্নয়ন খাতেও ফান্ডিং দিচ্ছি। ওয়েবিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশ নেয়।’