তথ্য গোপন করে’ বজলুর রশীদের জামিন, ফের মেয়াদ বাড়ল
৮ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৫৪
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদফতরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুদকের পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আসামির জামিন বাতিল চেয়ে শুনানি করেন৷
অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম জামিন বহালের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বজলুরের জামিনের বাতিলের আবেদন নাকচ করে দেন। একইসঙ্গে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরবর্তী ধার্য তারিখে বাদীকে জেরা করবেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।
এর আগে তথ্য গোপন করে গত ২৯ অক্টোবর জামিন নেন বজলুর রশীদ। এর বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিন বাতিলের আবেদন করেন।
গত ২৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই মামলার চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক নাসির উদ্দিন। চার্জশিটে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। এরই মধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের দাম হিসেবে তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। অ্যাপার্টমেন্টের দাম হিসেবে পরিশোধিত এই অর্থের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। অ্যাপার্টমেন্ট কেনা সংক্রান্ত কোনো তথ্য তিনি আয়কর নথিতেও দেখাননি। অ্যাপার্টমেন্টের দাম হিসেবে পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ অভিহিত করে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে স্ত্রীকে পাঠানোর অভিযোগের অনুসন্ধানে নেমেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এর অংশ হিসেবে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুর রশীদকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন তাকে আদালতে উপস্থিত করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর আদালতে বারবার জামিন আবেদন করলেও সে আবেদন নাকচ হওয়ায় এতদিন কারাগারে ছিলেন তিনি।