চট্টগ্রামের লালদিয়া চরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ
৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:৪২
ঢাকা: কর্ণফুলী নদীর তীরের বন্দর এলাকার মধ্যে লালদিয়ার চর থেকে সব অবৈধ স্থাপনা দুই মাসের মধ্যে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), র্যাব কমান্ডার, সিডিএ চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ সেবা সংস্থাগুলোকে এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন আদালত। এর ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্টদের আদালতে উপস্থিত হতে হবে। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৯ মার্চ দিন ঠিক করেছেন।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে চট্টগ্রাম বন্দরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা। অন্যদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একটি জরিপ প্রতিবেদন দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। প্রতিবেদনে দেখা যায়, সেখানে প্রায় ২১শ অবৈধ স্থাপনা ছিল। এরপর ২০১৬ সালে দেওয়া একটি রায়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে রায় হলেও আংশিক উচ্ছেদ শেষে আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বলা হয়, আগের বন্দর চেয়ারম্যান বদলি হয়েছে। আর নতুন চেয়ারম্যান এপ্রিলে যোগ দিয়েছেন। এ জন্য তিনি সময় চান। এছাড়া ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ১১ ফেব্রুয়ারি নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু তারা সেটি পালন করেননি। বন্দরের পক্ষে তাদের আইনজীবী মুরাদ রেজা বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদালত আদেশে বলেছেন— বিবাদীরা আদেশ পালন করেননি, যা দুর্ভাগ্যজনক। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, ডিসি, র্যাব কমান্ডার, সিডিএ চেয়ারম্যান ও সিটি করপোরেশনের প্রশাসকসহ সব বিবাদীদের রায় বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া সেবা সংস্থাগুলোকেও ওই সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ উচ্ছেদের ব্যবস্থা কর্ণফুলীর তীর লালদিয়ার চর