ঢাকা: নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রাখায় এ বছর ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২০’-এ ভূষিত করা হয়েছে পাঁচ নারীকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে পদক প্রাপ্তদের হাতে পদক ও সম্মাননাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার।
বেগম রোকেয়া পদক-২০২০-এর জন্য মনোনীত পাঁচ জন নারীকে সম্মাননা পদক, সনদ ও চেক প্রদান করা হয়। নারী শিক্ষায় প্রফেসর ড. শিরীন আখতার, পেশাগত উন্নয়নের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে কর্নেল (ডা.) নাজমা বেগম, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মঞ্জুলিকা চাকমা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বেগম মুশতারী শফি (বীর মুক্তিযোদ্ধা) এবং নারী অধিকারে অবদানের ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা আক্তার এ বছর বেগম রোকেয়া পদক লাভ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে সম্মাননা পদক, সনদ ও চেক গ্রহণ করেন।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন বাংলার নারী জাগরণের স্বপ্নদ্রষ্টা। তার স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সারাজীবন তিনি তার সেই স্বপ্নের কথা বলে গেছেন, লিখে গেছেন তার গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। যা আজও দিকনির্দেশনা হিসেবে সামনে রয়েছে। বেগম রোকেয়ার জীবন আচরণ ও নারী শিক্ষার প্রসারে তার কাজ স্মরণীয়। তিনি এই লড়াই চালিয়ে গেছেন আমৃত্যু।
৯ ডিসেম্বর সেই মহীয়সী নারীর জন্মদিন। দিনটি রোকেয়া দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা আনুষ্ঠানিকতায় স্মরণ করা হয় তাকে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রোকেয়া দিবস উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২০ প্রদান করা হবে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি পৃথক বাণী দিয়েছেন।
১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে এক জমিদার পরিবারে রোকেয়ার জন্ম। জীবনের নানা বাঁকে তিনি রোকেয়া খাতুন, রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, মিসেস আর এস হোসেন নামেও লিখতেন এবং এসব নামে পরিচিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।