Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ জানুয়ারি পি কে হালদারকে গ্রেফতারে অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ


৯ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:০৭

ঢাকা: এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে) বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত ও তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

উজ্জ্বল কুমার নন্দী এবং অমিতাভ অধিকারী নামে দুই ব্যক্তি পি কে হালদারের এ মামলায় নতুনভাবে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করলে আদালত তাদেরকে পক্ষভুক্ত করেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদেশের বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সারাবাংলা ডটনেটকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, `আজ আদালতে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার কপি এবং নিম্ন আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা দাখিল করেছে দুদক।`

তিনি আরও বলেন, `এ মামলায় দুজন পি কে হালদারের বিরুদ্ধে এ মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছেন।`

আদালত তখন পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার তদন্ত এবং ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদককে ৩ জানুয়ারি দিন ধার্য করে দেন।`

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, `আদালত পি কে হালদারের বিষয়ে আগামী ৩ নভেম্বর অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ইন্টারপোলের মাধ্যমে পি কে হালদারকে গ্রেফতারের বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা এবং মামলার তদন্তের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছেন আদালত।`

বিজ্ঞাপন

এ মামলায় আরও দুজন পক্ষভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, `দুজন নতুনভাবে পক্ষভুক্ত হলেও মামলা ডিলে (ধীর) হবে না।`

এর আগে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার ও লোপাটের অভিযোগে বিদেশে পালিয়ে থাকা পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গত ২ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নিম্ন আদালত।

গত ২ ডিসেম্বর পিকে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার আড়াই মাস পরেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্ট। এরপর ওইদিনই বিচারিক আদালত পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

পিকে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য গত ১৫ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালতে আবেদন করে দুদক। একই সঙ্গে বিদেশে পালিয়ে থাকা পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানায়।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর বিদেশে পালিয়ে থাকা পিকে হালদারকে বিদেশ থেকে দেশে আনতে এবং গ্রেফতারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ ও গোয়েন্দা বিভাগ, এনবিআর চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

দুদক সে বিষয়ে ২ ডিসেম্বর লিখিত ব্যাখ্যা আদালতে জমা দেয়।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘পিকে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

পিকে হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

পরে দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে পিকে হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

এর মধ্যে দেশে ফিরতে পিকে হালদার এ বিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন করতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের কাছে একটি চিঠি দেন। এরপর কোম্পানিটি আদালতে আবেদন করে। গত ৭ সেপ্টেম্বর আদালত বলেছেন তিনি কখন কীভাবে আসবেন তা জানাতে। পরে গত ২০ অক্টোবর একটি আবেদন করেছে কোম্পানিটি। যেখানে নির্বিঘ্নে দেশে আসার কথা বলা হয়েছে এবং সেখানে গত ২৫ অক্টোবরের একটি টিকিটের কপিও সংযুক্ত করা হয়।

গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট এ বিষয়ে এ আদেশ দেন। আদেশে দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গে তার গ্রেফতার নিশ্চিত করতে বলা হয়।

পুলিশের মহাপরিদর্শক, ইমিগ্রেশন অথরিটিরি চিফ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তবে গত ২৪ অক্টোবর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আইনজীবী জানিয়েছেন- পিকে হালদার গত ২৫ অক্টোবর দেশে ফিরছেন না।

গ্রেফতারের নির্দেশ টপ নিুজ পি কে হালদার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর