আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন: মওদুদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম ব্যুরো

খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বৃহস্পতিবার ( ১৫ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামে বিএনপির জনসভায় মওদুদ একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এজেন্ডা তিনটি। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয় এবং দেশের সকল মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ’

তিনি বলেন, ‘সরকারের সময় আর বেশি নেই। বিএনপি কোটি কোটি মানুষ নিয়ে মাঠে নামবে। প্রত্যেক নাগরিককে তার ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হবে।’

রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। তাদের অবশ্যই ফেরত যেতে হবে। তবে বিপদে বন্ধুর পরিচয়। আমাদের বন্ধু ভারত-চীন কেউই আমাদের সহযোগিতা করতে রাজি নয়।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের পররাষ্ট্র নীতিকে দায়ী করে মওদুদ বলেন, ‘মানবিক সাহায্য এক জিনিস আর কূটনৈতিক সাহায্য আরেক জিনিস। বর্তমান সরকার প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছে। তারা যা যা চেয়েছে সব দিয়েছে। এর পরও সহযোগিতা পাচ্ছে না। সরকারের কূটনৈতিক দুর্বলতা ও  ব্যর্থ পররাষ্ট্রনীতি এ জন্য দায়ী।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে।

লালদিঘী ময়দানে জনসভার ঘোষণা দেওয়া হলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ করে দলটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছিল। সরকার মনে করেছিল বেগম জিয়াকে জেলে পাঠালে আমরা দুর্বল হয়ে যাব। আমাদের মধ্যে ঐক্য থাকবে না। কিন্তু আমরা যৌথ নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছি। আগের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয় হয়েছি। আমরা কেউ মানসিকভাবে দুর্বল নই। সরকারের ষড়যন্ত্র বুমেরাং হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। এরশাদ ক্ষমতায় এসে বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র করেছিল। ওয়ান ইলেভেনের পর ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার তথাকথিত সংস্কারপন্থীদের দিয়ে দল ভাঙার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিএনপি ভাঙেনি।’

‘দল ভাঙতে না পেরে সরকার এখন আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তি বিলম্বিত করছে’— বলেন মোশাররফ।

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ ভুলু, মো. শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খন্দকার, জয়নুল আবদিন ফারুক, মাহবুবুর রহমান শামীম, রোজী কবির প্রমুখ।

খালেদার প্রতি অনুগত থাকুন: ফখরুল

সারাবাংলা/আরডি/এজেড