দেখিয়ে দিয়েছি আমরা পারি, কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না
১০ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৫৮
ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারব না; এটিই আমরা প্রমাণ করেছি। পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি আমরা পারি। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না- কথাগুলো বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিজয়ের মাসে সেদিন তিনি মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর নামফলক উম্মোচনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্প কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দৃঢ়তা ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বিজয়ের মাসেই পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়। এখন পূর্ণাঙ্গ দৈর্ঘ্য নিয়ে দৃশ্যমান পদ্মাসেতু। দেশের দক্ষিণাঞ্চল তো বটেই, সারাদেশের মানুষের স্বপ্নই যেন মাথা তুলে দাঁড়িয়ে গেছে প্রমত্ত পদ্মার বুকে। তবে সেতুটি এখনই উন্মুক্ত হচ্ছে না যানচলাচলের জন্য। আগামী বছরের ডিসেম্বের এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল। চলছিল জোর প্রস্তুতি। কিন্তু মহামারি করোনার কারণে তা পিছিয়ে যাচ্ছে আরও কিছুদিন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২১ সালে নয়, ২০২২ সালে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে দেশের সর্ববৃহৎ হবে সেতুটি। কোনো একটি বিশেষ দিনে এটি উদ্বোধন করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার অর্থবিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মাসেতু এখন বাস্তব। নাও ইট ইজ ফিজিক্যালি কমপ্লিট। আই থিঙ্ক, বাই জুন ২০২২, উই উইল ওপেন দ্য পদ্মা ব্রিজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। ফলে আমি এখনও এর দেখাশোনা করে থাকি। দক্ষিণ জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মাসেতু ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মূল পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেতুর নকশা করেছে আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম এইসিওএম নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মূল সেতুর নির্মাণকাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পানি (সিএমবিইসি)। নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। সেতু ও নদীশাসনের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে।
২০১৮ সালে ১৪ ডিসেম্বর দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের মানুষের স্বপ্নপূরণের উৎসবে যোগ দিতে পদ্মাপাড়ে উপস্থিত হন ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন সোয়া ১১টার দিকে পদ্মাপাড়ের মাওয়া প্রান্তে পৌঁছানোর পর ১১টা ১৭ মিনিটে তিনি পদ্মাসেতুর নামফলক উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী সেদিন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পদ্মা বহুমুখী সেতুর বিশাল কর্মযজ্ঞ।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে প্রকল্প এলাকায় দুই পাড়ে মানুষের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক ছড়িয়ে পড়ে। মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতুর নামফলক উম্মোচনের পাশাপাশি এন-৮ মহাসড়কের ঢাকা-মাওয়া এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি পরিদর্শন, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন, মূল নদীশাসন কাজ সংলগ্ন স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষামূলক কাজের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধন ঘোষণা শেষে মাওয়া টোলপ্লাাজা সংলগ্ন গোলচত্বরে সুধি সমাবেশে যোগ দেন। সেদিন তিনি দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর নামফলক উম্মোচন, ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন এবং মোনাজাতে অংশ নিয়ে এরপর বিকেলে তিনটার মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াছ আহমেদ চৌধুরী ঘাটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ২০০১ সালের ১২ জুলাই মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সরকার পরিবর্তন পটভূমিতে ওই ৯ বছর কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর ফের সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ঋণ চুক্তি বাতিল করে। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে ২০১৩ সালের ৪ মে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ সালে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর বাস্তবায়নের মূল পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন এবং তার আগে শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল কাজ উদ্বোধন করেন।
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু হচ্ছে অর্থ ব্যয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ প্রকল্প এটি। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি হবে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ ও দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। দ্বিতল এই সেতুর নিচতলা দিয়ে ট্রেন চলবে। সড়ক ও রেলপথে যুক্ত হবে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা।
সেদিন পদ্মা সেতুর মাওয়া টোল প্লাজার পাশের গোল চত্বরে নৌকার আদলে মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মাসেতু নিয়ে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের কথা আপনারা জানেন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রেরর কারণে বিশ্ব ব্যাংককসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা কথিত দুর্নীতির অজুহাতে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থায়ন থেকে বিরত থাকে। এ অবস্থায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা ছিল আমাদের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ। সাহসের সঙ্গে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কোটি মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ করতে চলেছি। সকল চক্রান্ত রুখে দিয়ে বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা পারি। কারণ বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
সেদিন শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল এদেশের সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিককার প্রতিষ্ঠা, সুখ-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা, বৈষম্যহীন সমাজ এবং অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ একদিন বিশ্বে একটি আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
সেদিন পদ্মা পাড়ের জনসভায় বিশ্বব্যাংকসহ ড. ইউনূসের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ দুই বছর পিছিয়ে যাওয়ার কারণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেআইনিভাবে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ছিলেন। আইনি লড়াইয়ে তিনি যখন এমডি থাকতে পারছেন না তখন আমার কাছে আমেরিকার বিভিন্ন অ্যাম্বাসেডর আসতেন। তারা হুমকি দিতেন যে, ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে সরালে পদ্মাসেতু হবে না। পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করেছে ড. ইউনূস। কোনো মানুষের মধ্যে দেশপ্রেম থাকলে কেউ দেশের এত বড় সর্বনাশ করতে পারে? সুদের টাকায় যিনি ধনী হতে পারেন তার ভেতর দেশপ্রেম থাকবে না এটিই স্বাভাবিক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন মোবাইল খাতকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিই। ওই সময় ড. ইউনূস এসে আমার কাছে বললেন, তাকে একটা ফোন দিলে তিনি ব্যবসা করতে চান। তিনি বললেন, এই ফোন কোম্পানি থেকে লাভের টাকা গ্রামীণ ব্যাংকে যাবে এবং এই টাকায় দরিদ্র মানুষেরা উপকার পাবেন। আমরা তিনটা কোম্পানিকে ফোন দিই, ড. ইউনূসকে দিলাম গ্রামীণ ফোন। কিন্তু এই ফোনের লভ্যাংশের একটা টাকাও গ্রামীণ ব্যাংক পাই নাই।’
সেদিন বেআইনিভাবে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি ছিলেন উল্লেখ করে বলেন, ‘আইনে আছে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত যে কেউ এমডি থাকতে পারবেন। ৭০ পেরিয়ে যাচ্ছে তখনও ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি। এই ব্যাংকটা সরকারি পয়সায় করা। ৯৮ সালের বন্যায় এই ব্যাংকটি খুব বিপদে পড়ে। আমরা গ্রামীণ ব্যাংককে ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছিলাম। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য ৭০ বছর বয়সেও তিনি এমডি। কোনো অনুমোদন ছাড়াই তিনি এমডির পদ দখল করে থাকলেন। প্রতিমাসে সরকারি বেতনও নেন।
তখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়ে বলা হলো, আপনি বেআইনিভাবে এমডি পদে থাকতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ড. ইউনূসকে অসম্মান করতে চাইনি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী দেখা করলেন। তারা প্রস্তাব দিলেন, আপনি এমডি পদ থেকে সরে যান। আমরা আপনাকে গ্রামীণ ব্যাংকের ইমেরিটাস উপদেষ্টা করে রাখব, ড. ইউনূস এ প্রস্তাব মানলেন না। তিনি মামলা করে দিলেন। একটা মামলা হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে। আরেকটা মামলা হলো অর্থমন্ত্রীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে। কিন্তু মামলায় ড. ইউনূস হেরে গেলেন। ড. ইউনূস যে ১০ বছর অতিরিক্ত বেতন নিয়েছেন কোর্ট চাইলে তা ফেরত নিতে পারত। কিন্তু আমাদের দিক থেকে কোনো দাবি ছিল না। কোর্ট ড. ইউনূসকে বলে দিলো, ‘আপনি থাকতে পারেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস ক্ষেপে গেলেন। হিলারি ক্লিনটন ওইসময়ে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আমাকে ফোন করলেন, ড. ইউনূসকে যেন গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে রাখি। আমি বললাম, আইনে এটা নেই। আমি কী করে রাখব? ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার তার স্ত্রী শেরি ব্লেয়ার আমাকে ফোন করলেন। এভাবে আরও অনেকেই। কিন্তু এটি তো আইনে পড়ে না। আইনের বাইরে আমরা কী করব? তাছাড়া আইন সংশোধন করব? সেই প্রস্তাবও তো আমাদের কেউ দেয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ড. ইউনূস মামলায় হেরে যাওয়ার পর অনেকেই আমার কাছে আসতেন। অনেক সময় আমেরিকান অ্যাম্বাসেডর যারা আছেন তারা এসেও হুমকি দিতেন, ইউনূসকে এমডি পদ থেকে সরালে পদ্মাসেতু হবে না। অনেক দিক থেকে হুমকি ছিল।’
‘কিন্তু আমার প্রশ্ন নোবেল প্রাইজ যিনি পেয়েছেন তিনি কেন ব্যাংকের এমডির পদ ছাড়তে পারেন না, সেই জায়গায় এত লোভ কেন?’ এরপর আমাদের পত্রিকার স্বনামধন্য এক এডিটর ও ইউনূস হিলারির সঙ্গে দেখা করলেন। হিলারি সব কথা শুনে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধানকে বলে দেন যেন পদ্মাসেতু নির্মাণে বাংলাদেশকে কোনো টাকা দেওয়া না হয়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এই টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল, এর পেছনে ছিল ড. ইউনূস’ বলে সেদিন জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ব্যাংক থেকে বলা হলো, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। তাদের একজন ইন্টেগ্রিটি অফিসার যিনি একজন ব্রিটিশ। বাংলাদেশে এসে এখানে- সেখানে বলে বেড়ালেন, পদ্মাসেতুতে দুর্নীতি হয়েছে। বাংলাদেশে এমন একজন দুর্নীতিবাজ আছেন যা পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতি রয়েছে; তিনি হলেন শেখ হাসিনা।’ ড. মশিউর রহমান ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে চিঠি পাঠালেন। আমরা জানতে চাইলাম, কোথায় দুর্নীতি হয়েছে তা জানতে চাই। তারা কিছু কাগজ নিয়ে এলো। ২০০১-০৬ পর্যন্ত, আমি বললাম এরা আমার মন্ত্রী না। পদ্মাসেতুর কোথায় দুর্নীতি হয়েছে আপনারা সেটা দেখান। তারা দেখাতে পারলেন না।’
‘আমরা চিন্তা করলাম পদ্মাসেতু নিজেদের অর্থায়নে করব। কারও সাহায্য নেব না। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই সকলের কাছ থেকে। আমি সাহস পেলাম।’
‘এরপরও বলা হলো পদ্মাসেতুর টাকা দেব উপদেষ্টাকে বের করতে হবে, মন্ত্রীকে বের করতে হবে। আমি বললাম, নো; আপনারা প্রমাণ না দিলে আমি কিছুই করব না।’
সেই সময় মালয়েশিয়া বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন আপনারা করেন, সহায়তা লাগলে আমরা করব। তারা একটা প্রজেক্ট ফাইলও করেছিল। যাই হোক, আমরা নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, কেউ দাবায়ে রাখতে পারব না। এটাই আমরা প্রমাণ করেছি। পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি আমরা পারি। আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না’ বলে দৃঢ়তা অভিপ্রায় প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন
বিস্ময়-বৈচিত্র্যে অনন্য পদ্মাসেতু
পদ্মাসেতু: অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ
‘পদ্মাসেতুতে যান চলাচল শুরু হবে ২০২২ সালে’
শত বাধা অতিক্রম করে পদ্মাসেতু আজ দৃশ্যমান: কাদের
নদীর গভীরতা-খরস্রোত— সব চ্যালেঞ্জ উৎরেই পদ্মাসেতু
পদ্মার বুকে বিস্ময়, শেষ স্প্যানে দৃশ্যমান পূর্ণাঙ্গ পদ্মাসেতু
৪ ধরনের ভয়াবহ ধাক্কা-দুর্যোগ সামলাতে সক্ষম পদ্মাসেতু
আগামী এক বছরের মধ্যে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ হবে: কাদের