শুধু সমালোচনা নয়, সমালোচকদের কাছে প্রশংসাও চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৮:৩৬
ঢাকা: কেবল সমালোচনা নয়, সমালোচকদের প্রতি প্রশংসা করারও আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, অর্থনীতি সচল রয়েছে। করোনার সময়ে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স অর্জিত হয়েছে। তাই শুধু সমালোচনা নয়, কিছু প্রশংসাও করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস মিলনায়তনে হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন উদ্বোধনে এসে এ আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার নভেল করোনাভাইরাসের টিকার ব্যবস্থা করছে। আমরা আশা করি আগামী মাসের প্রথম দিকেই, প্রথম কোয়ার্টারেই আমরা টিকা পেয়ে যাব। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করেছি। তিন কোটি ডোজ টিকা সরকার নিয়ে আসছে সরাসরি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টিকার ব্যবস্থা করতে পেরেছে। ডব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) আমাদের টিকা দেবে আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ। সেটা আসতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আমরা টিকা পাব। অনেক দেশ আছে, যারা এখনো টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন শিশুকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এসময় তিনি টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নানা সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন। সঠিক নিয়মে ও দক্ষতার সঙ্গে টিকা দেওয়ার ফলে হাম-রুবেলা, পোলিওসহ ১০ ধরনের কঠিন সংক্রমণ দেশ থেকে নির্মূলের পথে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যখাতের সফলতায় দেশের প্রায় ৯০ ভাগ শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে বেশ কয়েকবার দেশব্যাপী হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালিত হওয়া সত্ত্বেও বিগত কয়েক বছরে দেশে হাম ও রুবেলা রোগের প্রকোপ ও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে এবং ২০২৩ সাল নাগাদ দেশ থেকে হাম-রুবেলা দূর করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে আরও একটি হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে যাচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য হলো ৯ মাস থেকে ১০ বছর বয়সী শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি শিশুকে এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি বিবেচনা করে নিরাপদ পরিবেশে জনগণ বা স্বাস্থ্যকর্মী কারও ক্ষতি সাধন না করে গুণগত মানসম্পন্ন একটি টিকাদান ক্যাম্পেইন পরিচালনা নিশ্চিত করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি জানিয়েছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকাদান চলবে। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই কর্মসূচি পালন করা হবে না, টিকা দেওয়া হবে কমিউনিটি টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে।
টিকাদান কর্মসূচি প্রশংসা সমালোচক সমালোচনা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক হাম-রুবেলা