ওষুধ নয়, আবর্জনা অপসারণে মশা নিধন চান সুজন
১১ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:০৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ব্যয়বহুল ওষুধ ছিটানোর বদলে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের মাধ্যমে মশা নিধনে নেমেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এই প্রক্রিয়াতে তিনি ওষুধের চেয়েও কার্যকরভাবে মশা নিধন সম্ভব বলে মনে করছেন।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেশখালে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারে নেতৃত্ব দেন সুজন। এর আগে তিনি আরও কয়েকটি খালে একইভাবে ময়লা-আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন।
মহেশখালে কার্যক্রম শুরুর আগে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘যারা খাল-নালা-নদর্মাকে ডাস্টবিন বানিয়ে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত করছে, তাদেরই নিজ দায়িত্বে এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আবর্জনা ফেলে পানি চলাচলের পথ বন্ধ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই অভিযুক্তকে জেল-জরিমানার দণ্ড ভোগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মহেশখাল কর্নফুলী নদীর শাখা খাল। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনে এ খালটি পরিষ্কার রাখা দরকার। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এই খালটি বারবার পরিষ্কার করার পরও কিছু লোকের হুঁশ হয় না। তারা প্রকাশ্যে খালে আবর্জনা ফেলে।’
‘আবর্জনাগুলো মশার উর্বর প্রজনন কেন্দ্র ও রোগ-বালাইয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা চাই, কোটি কোটি টাকা খরচ করে ওষুধ ছিটানো নয়, ময়লা-আবর্জনা অপসারণের মাধ্যমে মশা নিধন করতে। এটা অনেক কার্যকর এবং ফল দীর্ঘস্থায়ী।’
এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিজেদের বাসা-বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তা ও নালা-নদর্মা নিজেরাই পরিষ্কার রাখবেন। এটা সামাজিক কর্তব্য। কেউ কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে যথেষ্ট খরচাপাতি করেন। তাদের উচিত সমাজের ভালোর জন্য কাজ করা, জনকল্যাণমমুখী সেবা প্রদান করা। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা-নালা-নদর্মা করছে। অথচ এগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, সমাজসেবী ওয়াহিদুল আমিন, আরিফুল আমিন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি খোন্দকার আব্দুল হক বাবুল, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা।