ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের খনন কাজ শুরু
১২ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:১৩
ঢাকা: ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল এবং ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরিসহ নৌযোগাযোগ দ্রুত ও নিরাপদ করতে মেঘনা নদীতে খনন শুরু করেছে সরকার। মেঘনা নদীর লোয়ার অংশে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমণীমোহন ইউনিয়নের মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন এলাকার দক্ষিণ দিকের চ্যানেলের ২৫ কিলোমিটার নৌপথের খনন কাজ শুরু হয়েছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) এ কাজের উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
মেঘনার ওই অশে খনন কাজ শেষ হলে ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং ঢাকা-লক্ষ্মীপুর উভয় নৌপথের দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার কমবে। ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ ৬ ঘণ্টার যেতে পারবে।
লক্ষ্মীপুরে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের ২৫ কিলোমিটারের খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃকায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি পদ্মাসেতু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছেন। পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান। ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব। সমালোচনাকারী ড. ইউনুস ও খালেদা জিয়া এখন কোথায়?’
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, নৌপরিবহন মমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিক আহম্মেদ সিদ্দিকী, জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মিয়া মোহাম্মদ গোলাম ফারুক পিংকু এবং সাধারণ সম্পাক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ পুনরুদ্ধারের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে, দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ও প্রাজ্ঞ রাজনীতির কারণে করোনাকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী পরে মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন এলাকায় মেঘনার লোয়ার চ্যানেলে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী এবং মেঘনা (লোয়ার) নদীর ওপর দিয়ে ঢাকা হতে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত নৌপথের দুরত্ব ১২৫ কিলোমিটার। বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে বর্তমানে কোন নাব্যতা সংকট নেই। মেঘনা (লোয়ার) নদীতে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট সংলগ্ন এলাকায় কিছু স্থানে নাব্যতা সংকট রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) মেঘনা (লোয়ার) নদীর উক্ত চ্যানেলে ২৫ কিলোমিটার নৌপথ খনন করবে। ২২০ ফুট প্রসস্থ ও ১০ ফুট গভীরতায় খনন করা হবে। এ বছরের ডিসেম্বরে শুরু হয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খনন কাজ শেষ হবে। দুবছরে ৩১ লক্ষ ঘনমিটার খনন কাজে ব্যয় হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এবং বিআইডব্লিউটিএর নিজস্ব ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ সম্পন্ন করা হবে।