‘করোনা চিকিৎসায় আইসিইউতে সরকারের রোগীপ্রতি ব্যয় ৪ লাখ’
১২ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:৪৬
ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে কোভিড মোকাবিলায় প্রতিটি আইসিইউ বেডের রোগীর পেছনে সরকারের গড়ে প্রায় ৪ লাখ টাকা ও সাধারণ বেডের রোগীর জন্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। সময় মতো জরুরি ও প্রয়োজনীয় ওষুধের মজুত রাখা হয়েছে। সঠিক সময়ে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকনোমিক ইউনিট কর্তৃক আয়োজিত সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস-২০২০ উপলক্ষে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড মোকাবেলায় শুরু থেকেই দেশের স্বাস্থ্যখাত দেশের মানুষের জন্য চিকিৎসাসেবা ফ্রি করে দিয়েছে। দেশে দ্রুততার সঙ্গে কোভিড টেস্ট সেন্টার একটি থেকে ১২০টি করা হয়েছে। মাত্র অল্প দিনেই দেশের ৫৯টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে দেশের আড়াই কোটি মানুষের ফোনকল রিসিভ করে সরকারি সেবা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশে সংক্রমণ কম হয়েছে। মৃত্যুহার কমে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যথোপযুক্ত নেতৃত্ব ও হাজারো স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টার মাধ্যমেই দেশের করোনা এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মৃত্যুহার কমে গেছে। দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রয়েছে। গার্মেন্টস-শিল্প কারখানা খোলা থাকায় দেশের মানুষকে ঘরে বসে থাকতে হয়নি। এসব হয়েছে দেশের স্বাস্থ্যখাত ঠিকভাবে নিরলস কাজ করেছে এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে বলেই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যখাতের বাজেট আরও বৃদ্ধি করতে হবে।’ পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা, নতুন লোকবল নিয়োগ দেয়ার ওপরও গুরুত্ব দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘শহর অঞ্চলের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার স্বাস্থ্যসেবার হাতে না থাকায় পরিসংখ্যানগত দিক দিয়ে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও ভালো হচ্ছে না। আরবান হেলথ কেয়ার এখনো লোকাল গভর্নমেন্টের কাছে। লোকাল গভর্নমেন্টের কাছে লোকবলের সেরকম সক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধা কম থাকায় এই সেক্টরে যথেষ্ট উন্নতি দৃশ্যমান হচ্ছে না। এর ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবার পরিসংখ্যানগত মান ব্যহত হচ্ছে।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান। এতে আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ডা. ভুপিন্দ্র আওলাখ।
