‘জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রতারিত হয়েছে’
১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৮:৫৬
ঢাকা: শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা ও দেউলিয়াত্বের কারণে জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রতারিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর উদযাপনের প্রাক্কালে বাংলাদেশ এখন স্বাধীনতার ঘোষণা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার বিপরীতে হাঁটছে। দেশকে সংবিধানের চার মূলনীতির বিপরীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত পাঁচ দশকে সরকার ও শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা ও দেউলিয়াত্বের কারণে জনগণের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রতারিত হয়েছে। পাকিস্তানি জমানার মতো এক দেশে দুই সমাজ, দুই অর্থনীতি কায়েম করা হয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের কথা বলে গণতন্ত্র ও সুশাসন একসঙ্গে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বরিশালে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর, গণতন্ত্রের সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাইফুল হক এসব কথা বলেন। সভায় পার্টির ১৬ সদস্যের জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলার আহ্বায়ক সিকদার হারুন রশীদ মাহমুদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, কেন্দ্রীয় সদস্য অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, পার্টির বরিশাল জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, জসিমউদ্দীন রাড়িসহ অন্যরা।
সাইফুল হক বলেন, নিশ্চয় আমরা টেকসই উন্নয়ন চাই। কিন্তু যে উন্নয়ন দুর্নীতি, লুটপাট, জবরদখল, সন্ত্রাস, মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করে, মানুষকে বেকার করে, তাদের অধিকার কেড়ে নেয়— তা প্রকৃত উন্নয়ন নয়।
তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনঅধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না, কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসন বহাল রাখা যাবে না। বর্তমান সরকার ও লুটেরা শাসকগোষ্ঠী আমাদের সম্ভাবনাময় দেশ ও জনগোষ্ঠীকে এক দিশাহীন, আশাহীন নৈরাজ্যের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। তাই এদের কাছে দেশ ও জনণের কোনো ভবিষ্যত নেই।
এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথে আন্দোলনের ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আমাদের জনগণকে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে।
আলোচনা সভায় বহ্নিশিখা জামালী বলেন, ভোটাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার ছাড়া স্বাধীনতার কোনো অর্থ নেই। নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক বলে দাবি করতে চাইলে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিন্দ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনি ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।
আকবর খান বলেন, বাংলাদেশ আজ লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও ধর্ষকের লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে এরা ভূলুণ্ঠিত করেছে। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আজ জনগণের নিজস্ব শক্তি বিকশিত করতে হবে।
হারুন রশীদ মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে অধিকার ও মুক্তি লাভে দেশের জনগণকে আবার জাগিয়ে তুলতে হবে।
গণতন্ত্রের সংকট ও করণীয় বরিশাল জেলা আহ্বায়ক কমিটি বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাইফুল হক স্বাধীনতার ৫০ বছর