ঢাকা: লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম ওরফে কাজী পাপুল ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে আদালত। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করে আজ রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
১৪৮ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন ও ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার সম্পদ গোপনের অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর পাপুল ও তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপন ও ১৪৮ কোটি টাকা লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই। অন্যদিকে, এফডিআর হিসাবের ২ কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তার স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।