আবাসিক হোটেলে কিশোরী ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
১৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৫:৪৬
বরিশাল: ২০১৬ সালে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামি সায়েম আলম মিমুকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে চুরির দায়ে তাকে আরও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবাসিক হোটেলের ম্যানেজারকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফয়জুল হক ফয়েজ জানান, ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বরিশাল নগরীর চকবাজারের আবাসিক হোটেল ফেয়ার স্টারের ৩০৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেয় ঢাকার ওয়ারীর ৬০/১ যুগীনগর এলাকার মো. সেলিম আলমের ছেলে সায়েম আলম মিমু এবং তার প্রেমিকা। পরে ওই কক্ষে ইশিকে ধর্ষণ করেন মিমু। ধর্ষণের ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে হোটেল কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ইশি। তখন তার মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার নিয়ে সায়েম আলম পালিয়ে যান। পুলিশ ওইদিনই হোটেল কক্ষ থেকে ইশির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ইশির বাবা ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে ওইদিনই কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরে হোটেলের মালিক আব্দুল বিশ্বাস ও ম্যানেজার মজিবুর রহমান আকনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইশির প্রেমিক সায়েম আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০১৭ সালের ৩১ মার্চ হোটেল মালিক আব্দুল বিশ্বাসকে অব্যাহতি দিয়ে প্রধান অভিযুক্ত প্রেমিক সায়েম আলম ও হোটেল ম্যানেজার মজিবুর রহমান আকনের বিরুদ্ধে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ট্রাইব্যুনালে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রায় ঘোষণার পর আসামিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় পুলিশ।