যখন চারপাশের বাতিগুলো নিভে আসছিল
১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:১২
ঢাকা: পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী বুঝতে পারে, তাদের পরাজয় আসন্ন। মুক্তিকামী বাঙালির ৯ মাসের স্বাধীনতা সংগ্রামের কাছে পরাজয় মানতে যাচ্ছে ধারালো বেয়নেট, ঘাতক গ্রেনেড। এ অবস্থায় তৈরি হয় আরেক নীলনকশা। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বেছে বেছে হত্যার মিশন শুরু করে দানবরা। ২৫ মার্চের মতো আরেকটি ভয়ানক রাত ছিল ১৪ ডিসেম্বর। ১৪ ডিসেম্বরের শান্ত সন্ধ্যাটি একসময় গভীর রাত হয়ে নেমে আসে। যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরের বাড়িগুলোর আলো নিভে যেতে শুরু করে। যখন ঘুমিয়ে পড়ে বিধ্বস্ত রাজধানীর ক্লান্ত মানুষগুলো, তখনই পায়চারি শুরু হয় ঘাতক ও দালাল-দোসরদের। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কাউকে কাউকে অপহরণ করা হয়, কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের বাসভবন থেকে। উদ্দেশ্য ছিল বাঙালি জাতির জ্ঞান-সংস্কৃতির বাতি চিরতরে নিভিয়ে ফেলা।
ঘাতকের হাতে শহীদ হওয়া শ্রেষ্ঠ মানুষগুলো ছিলেন দারুণ ক্ষমতার অধিকারী। কেউ কবিতা লিখতেন, কেউ সংবাদ লিখতেন, কেউ ছিলেন চিকিৎসক, কেউ বিলিয়ে যেতেন শিক্ষার আলো। কেউ আবার রূপালি পর্দায় তুলে ধরতেন জীবনযাপনের গল্পগুলো। কেউবা রাজনীতি করতেন, কেউবা গলা ছেড়ে গাইতেন দেশের গান, লাল-সবুজের গান।
এমন একজন ছিলেন আনোয়ার পাশা। বাংলাদেশের স্বাধিকার নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ রচনা করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন তিনি। পুরো ৯ মাস নিজের অবস্থান থেকে একটুও নড়েননি, ভীত হননি। ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাহায্যকারী আলবদরের একটি দল তাকে তার নিজ বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর তুলে দেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে। মিরপুরে নিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।
আরেকজন শহীদুল্লা কায়সার। তিনি ছিলেন লেখক সাংবাদিক, কমিউনিস্ট নেতা। রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয় তাকে। ‘সংসপ্তক’, ‘সারেং বউ’সহ অনেক উপন্যাস, গল্প-কবিতা লিখে রেখে গেছেন তিনি। ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর ক’জন সদস্য তাকে তার বাসা ২৯, বি কে গাঙ্গুলী লেন থেকে ধরে নিয়ে যায়। আর তিনি ফিরে আসেননি আমাদের মাঝে।
এই গণহত্যা ছিল পরিকল্পিত। ডিসেম্বরে এসে নিজেদের পরাজয় অনিবার্য জেনে পাকিস্তানি দখলদাররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার গোপন নীলনকশা গ্রহণ করে। তারা বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরি করে তা তুলে দেয় তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর ক্যাডার গ্রুপ রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের হাতে। মূলত বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর থেকে। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিটলিস্ট অনুযায়ী মিশন বাস্তবায়ন করা হয়। এভাবে বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে তারা। এর আগেও একাত্তরের মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর লগ্নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদফা হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
একাত্তরের শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে আছেন— অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. মোহাম্মদ মুর্তজা, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, মুনীর উজ্জামান, ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, ডা. মোহাম্মদ শফি, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, নিজামুদ্দিন আহমেদ, খন্দকার আবু তালেব, আনম গোলাম মোস্তফা, শহিদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, জহির রায়হান, আলতাফ মাহমুদ, ড. আবদুল খায়ের, ড. সিরাজুল হক খান, ড. ফয়জল মহী, ডা. আবদুল আলীম চৌধুরী, সেলিনা পারভীন, অধ্যাপক হবিবুর রহমান, কবি মেহেরুন্নেসা, গিয়াস উদ্দীন আহমদ।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণণায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা
দেলোয়ার হোসেন রাষ্ট্রপক্ষের ২২ তম সাক্ষী হিসেবে চৌধুরী মাঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে সাক্ষ্য দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ট্রাইব্যুনালে। দেলোয়ার হোসেন ১৯৭১ সালে বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অযৌক্তিক সমালোচনা করায় এক উইং কমান্ডারের সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল। ওই উইং কমান্ডার তাকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে তার ডায়েরিতে নাম লিখেছিলেন বলে ধারণা করা হয়।
দেলোয়ারকে ধরে নিয়ে যান আশরাফুজ্জামান ও মাঈনুদ্দিন। তাকে নেওয়া হয় মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে, যেটি তখন আলবদরের সদর দফর হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
সাক্ষী দেলোয়ার ২০১৩ সালে ট্রাইব্যুনালে বলেন, ‘সারাদিন কেটে যাওয়ার পর আরও কিছু লোক ধরে এনে একই ক্যাম্পের একই হলঘরে রাখা হলো। আমি তখন একটি দেয়ালের কাছে কাঁৎ হয়েছিলাম। বন্দিদের একজন আকুতি করে বলছিলেন, তার হাতে খুব ব্যথা হচ্ছে। কেউ যদি থাকেন, তার হাতের বাঁধনটা যেন খুলে দেন। তখন আমি ধীরে ধীরে ওই লোকটির কাছে গিয়ে তার হাতের বাঁধনটি খুলে দেই। হাতের বাঁধন খোলার সময় আমি লোকটিকে চিনতে পারি। তিনি আর কেউ নন, অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিভাগের ছাত্র হলেও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীদের ভালোভাবেই চিনতাম।’
সাক্ষী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ওই হলঘরে রড দিয়ে মুনীর চৌধুরীকে পেটানো হয়। তখন তার মুখ দিয়ে গল গল করে রক্ত ঝরছিল। একইভাবে মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী স্যারকেও তারা লোহার রড দিয়ে পেটান। ওই একই সময় সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। সেলিনা পারভীন বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন। সেলিনা পারভীন জানান, তাকে ছেড়ে দিলে তিনি আর কখনো ঢাকায় আসবেন না এবং পত্রিকায় লেখালেখি করবেন না। তারপরও ঘাতকরা তাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন।
দেলোয়ার হোসেনকে ঘাতকরা টর্চার সেলে নিয়ে যান রায়েরবাজারে নদীর ধারে। সেখানে আগে থেকে ধরে নিয়ে আসা আরও অনেকেই ছিলেন। যেটি এখন রায়েরবাজার বধ্যভূমি, সেখানেই হত্যা করা হয় অগণিত মানুষকে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে পালিয়ে যান দেলোয়ার হোসেন। নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তিনি পার হয়ে চলে যান বসিলায়। সকালে বসিলা গ্রামবাসী নদী থেকে দেলোয়ারকে উদ্ধার করেন।
লাশ মিলেছিল রায়েরবাজারে, মিরপুরে
১০ ডিসেম্বর ১৯৭১। গভীর রাতে দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক কার্যনির্বাহী সম্পাদক ও অকুতোভয় সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের ঢাকার ৫ নম্বর চামেলীবাগের ভাড়া বাসার দরজায় প্রচণ্ড করাঘাতে শোনা গেল। তারই এক পুত্র এত রাতে দরজায় করাঘাত বিস্ময়াভিভূত হয়ে দরজা খুলে দিতেই আচমকা ১০/১২টি বন্দুকের নল প্রবিষ্ট হতে দেখা গেল। এরপর ঘাতকরা সিরাজুদ্দীন হোসেনকে শোবার ঘর থেকে নিয়ে যায়। ডিসেম্বরের শীতের এই হাতে পরনে ছিল তার শুধু লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি। এই অপহরণের পর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। একই রাতে পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান বার্তা পরিবেশক নাজমুল হককেও একইভাবে নিয়ে যায় বদর বাহিনীর সদস্যরা।
ডিসেম্বরের ১০ তারিখের গভীর রাতে সিরাজুদ্দীন হোসেনকে অপহরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞ। বুদ্ধিজীবীদের ওপর নির্মম-নৃশংস অত্যাচার চালানোরর পর রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে নিয়ে গিয়ে ঘাতকেরা হত্যা করে। হার্টের চিকিৎসকের হার্ট, চোখের ডাক্তারের চোখ, লেখক সাংবাদিকের হাতের কব্জি কেটে ফেলেছিল ওই ঘাতকেরা। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট-আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারও কারও শরীরে একাধিক গুলি, অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে। লাশের ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্তও করতে পারেননি।
হত্যার নেপথ্যে আশরাফুজ্জামান ও মঈনুদ্দীন
স্বাধীনতার পর লাশ বহনকারী বাহনের চালক মফিজউদ্দিনের বয়ানে শোনা যায়, ইসলামী ছাত্র সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য এবং পাকিস্তান রেডিওর সাবেক কর্মী আশরাফুজ্জামান খান নিজ হাতে সাত জন শিক্ষককে গুলি করে হত্যা করেন। আর শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান ও স্বজনদের বয়ানে জানা যায়, তাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে চৌধুরী মঈনুদ্দিন সরাসরি জড়িত ছিল। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় দু’জনই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
বিজয়ের পর আশরাফুজ্জামানের একটি ডায়েরি পাওয়া যায়, যা তাদের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অন্যতম প্রমাণ। ডায়েরিটিতে ১৯ জন বুদ্ধিজীবীর নাম ও ঠিকানা লেখা ছিল। পাকিস্তানি গবেষক সেলিম মনসুর খালিদের লেখা আলবদর গ্রন্থ অনুসারে, ওই বইয়ের লেখকের কাছে আশরাফুজ্জামান ডায়েরি লেখার বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী চৌধুরী মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ডের রায় গত আট বছরেও কার্যকর হয়নি। এই দুই ঘাতক বিদেশে অবস্থান করায় তাদের দণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে, আর মঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষক, ছয় জন সাংবাদিক ও তিন জন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যাসহ ১১টি অভিযোগই মূল হোতা মঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়। সেই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তির্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আশরাফুজ্জামানের নাখালপাড়ার বাসা থেকে উদ্ধার করা তার ব্যক্তিগত দিনপঞ্জিতে এই হত্যা পরিকল্পনা ও টার্গেট ব্যক্তিদের একটি তালিকা পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ড. সিরাজুল হক খান, ড. মো. মর্তুজা, ড. আবুল খায়ের, ড. ফয়জুল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা ও ড. সন্তোষ ভট্টাচার্য, সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, সৈয়দ নাজমুল হক, এএনএম গোলাম মুস্তাফা, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সেলিনা পারভীন, শহীদুল্লা কায়সার, চিকিৎসক মো. ফজলে রাব্বী ও আলিম চৌধুরীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
তালিকা হচ্ছে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের, প্রাথমিক তালিকায় ১২২২ জন
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ২২২ জনের একটি তালিকা করেছে সরকার। চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ তালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রণয়নে গঠিত কমিটি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষকে সভাপতি করে গঠিত ১১ সদস্যের এ কমিটির প্রথম সভায় রোববার এক হাজার ২২২ জনের ওই তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, বুদ্ধিজীবী কারা, তার সংজ্ঞা নির্ধারণের জন্য আমাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য হয়েছে, আগামী সভায় এটা লিখিত আকারে উপস্থাপিত হয়ে অনুমোদিত হবে। আউটলাইন ঠিক হয়েছে, কারা শহিদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
মন্ত্রী জানান, ১৯৭২ সালে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ৭০ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর একটি তালিকা হয়েছিল। পরে ডাক বিভাগ ১৫২ জন শহিদের ডাকটিকেট প্রকাশ করে। মোট এক হাজার ২২২ জন হয়, সেই তালিকা আমরা অনুমোদন দিয়েছি।