হেফাজত মহাসচিব কাসেমীর জানাজায় জনতার ঢল
১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১১:১৭
ঢাকা : হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। তার জানাজায় লাখো জনতার ঢল নেমেছিল। জানাজা শুরুর আগ থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আশপাশ এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
সোমবার সকাল সোয়া নয়টায় বায়তুল মোকাররমে জানাজায় ইমামতি করেছেন তার ছোট ছেলে মুফতি জাবের কাসেমী। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম ও রাজনীতিবিদরা অংশ নেন। জানাজা শেষে তাকে আশুলিয়া বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ধউর গ্রামে অবস্থিত সুবহানিয়া মাদরাসায় দাফন করা হবে।
তার জানাজা উপলক্ষে সোমবার ভোর থেকেই বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। জানাজার আগে বায়তুল মোকাররমের আশপাশের সবগুলো রাস্তা সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বয়ান করেছেন আল্লামা কাসেমীর হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান জামিয়া বারিধারার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা নাজমুল হাসান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা জিয়াউদ্দিন, হেফাজতের পক্ষ থেকে আমিরে হেফাজত আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, কওমি শিক্ষা বোর্ড বেফাক ও আল-হাইআর পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান্। এছাড়াও পরিবারের পক্ষ থেকে আল্লামা কাসেমীর ছোট ভাই মাওলানা আবদুল কুদ্দুস সংক্ষিপ্ত বক্তব্য বয়ান করেন। এ সময় তারা স্মৃতিচারণ করে আল্লামা কাসেমীর কর্মবহুল জীবনের নানাদিক নিয়ে কথা বলেন।
গতকাল রবিবার দুপুর পৌনে একটায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আল্লামা কাসেমী। এর আগে ১ ডিসেম্বর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১০ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। কাসেমীর ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন তার প্রেস সেক্রেটারি মুনির আহমেদ। হেফাজতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন দেশের এই শীর্ষ আলেম। সংগঠনের আমির আল্লামা আহমদ শফির মৃত্যুর পর গত ১৫ নভেম্বর নতুন করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির ও নূর হুসাইন কাসেমীকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বায়তুল মোকাররম হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ