৩০ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস, ৭ কোটি টাকা জরিমানা
১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৪২
ঢাকা: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের এ প্রতিবেদন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। প্রতিবেদন জমার বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘বাজারে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ টাকার জব্দ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিমান পরিচালনা করে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ হাজার ৪৩৭টি মামলা করা হয়। এরও একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছি। প্রায় দেড় হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এখানেও সাত কোটি টাকার ওপরে জরিমানা করা হয়।’
এসময় আগামী তিন মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধবিরোধী অভিযানের সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার/ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর আদালত এ প্রতিবেদন দেয়।
২০১৯ সালের ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়।’ এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন ওই বছরের ১৭ জুন ‘জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনে’র পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।