প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ৯ জনের সাক্ষ্য ২৬ জানুয়ারি
১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৭:০২
ঢাকা: ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাতের অপমৃত্যুর ঘটনায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ২৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু হাইকোর্ট মতিউর রহমানের পক্ষে মামলাটি ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী। বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অপর আট আসামিরা হলেন-আনিসুল হক, কবির বকুল, শুভাশিষ প্রামানিক শুভ, মহিতুল আলম পাভেল, শাহপরান তুষার, জসিম উদ্দিন অপু, মোশারফ হোসেন, সুজন ও কামরুল হায়দার।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগরে বদলীর আদেশ দেন। এরপর গত ১২ নভেম্বর আদালত ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এর আগে মোহাম্মদপুর থনার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম পুলিশ পরিদর্শক এ আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪ (এ) অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আমিনুল হকের আদালতে আবরারের বাবা মামলাটির আবেদন করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কিশোরদের মাসিক সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার যান। অনুষ্ঠান চলাকালে সাড়ে ৩টার দিকে আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অনুষ্ঠানের জন্য যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয় তা অরক্ষিত ছিল।
অভিযোগে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার যে নিরাপত্তা ও সাবধানতার প্রয়োজন ছিল তা নেওয়া হয়নি। ঘটনাস্থলের অতি সন্নিকটে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল অবস্থিত হলেও আবরারকে মহাখালী ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। নাইমুল আবরার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট পৃষ্ট হওয়ার পর বিকেল করে ৪টা ৫১ মিনিটে চিকৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরারের মৃত্যুর সংবাদ কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপন করে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চালিয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ আবরারের মৃত্যুর বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়নি। আবরারের পরিবার এক সহপাঠীর মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পান। যা একটি পরিকল্পিত, গাফিলতি এবং অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।
২০১৯ সালের গত ১ নভেম্বর মাসিক ম্যাগাজিন ‘কিশোর আলোর’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরারের মৃত্যু হয়। সে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম (গ) শ্রেণির (দিবা) শিক্ষার্থী ছিল।