ঢাকা: সাত দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার ও কৃষিজমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইআরপিবি) ছারওয়ার আহাদ, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও রিপন বাড়ৈর গত ২৯ নভেম্বরে দায়ের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশ দেন।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, সাত দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের সব অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
একইসঙ্গে বৈধ ইটাভাটায় জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার এবং কৃষি জমি বা পাহাড়ের মাটি কেটে ব্যবহারকারীদের তালিকা দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট।