Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজয় দিবসের ভাষণেও সবাইকে মাস্ক পরতে বললেন প্রধানমন্ত্রী


১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৯:৩৪

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে আসা বিজয় দিবসের ভাষণেও সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বিজয় দিবসের সব আয়োজনে অংশ নিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুসরণ করতে বলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর ধারণ করা এই ভাষণের রেকর্ডটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। করোনাভাইরাসসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এ বছর যেসব রাজনীতিক, সংসদ সদস্য, বরেণ্য ব্যক্তিসহ অন্যরা মারা গেছেন, ভাষণে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান— ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার করবেন না

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর আমাদের বিজয় দিবস উদযাপন করতে হচ্ছে। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে আমাদের দৈনন্দিন কার্যপ্রণালীতে পরিবর্তন আনতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জনসমাগম এড়িয়ে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করতে হচ্ছে। প্রতিটি মানুষের জীবনই মহামূল্যবান। কোনো অবহেলায় একজন মানুষেরও মৃত্যু কাম্য নয়। তাই আমি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিজয় দিবস উদযাপনসহ যাবতীয় কাজকর্ম সম্পন্ন করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরিধান করবেন এবং মাঝেমধ্যে হাত সাবান অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করবেন। আপনার সুরক্ষা সবার জন্য রক্ষাকবচ।

আরও পড়ুন- লাল-সবুজ পতাকার অসম্মান হতে দিও না— তরুণদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছরটি শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্ববাসীর জন্য এক দুর্যোগময় বছর। করোনাভাইরাসের মহামারি স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার পাশাপাশি অর্থনীতির ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব অর্থনীতি এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। করোনাভাইরাসের মহামারির ফলে অনেক উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে আমরা সময়োচিত পদক্ষেপ ও কর্মসূচি গ্রহণ করে এই নেতিবাচক অভিঘাত কিছুটা হলেও সামাল দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি, যা জিডিপি’র ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় আড়াই কোটি প্রান্তিক মানুষকে নগদসহ নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে আমাদের প্রবাসী আয়, কৃষি উৎপাদন এবং রফতানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ হারে আমাদের প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ বলছে ২০২০ সালে বাংলাদেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।

সরকারের নেওয়া উন্নয়ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর কাজ পূর্ণ গতিতে এগিয়ে চলছে। আমাদের স্বপ্নের ও গর্বের পদ্মাসেতুর সবগুলো স্প্যান বসানো শেষ। ঢাকায় মেট্রোরেলের কাজ আবার পূর্ণোদ্যমে শুরু হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ এই মহামারিতে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলির নদীর তলদেশে ট্যানেল নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নয়নের কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

করোনাভাইরাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয় দিবসের ভাষণ মাস্ক স্বাস্থ্যবিধি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর