Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খান’স কিচেনে অভিযান, ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন


১৫ ডিসেম্বর ২০২০ ২৩:১৭

ঢাকা: রাজধানীর খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান খান’স কিচেনে অভিযান চালিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা। অভিযানে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। অভিযানে দুই মাসেই এক কোটি ৪২ লাখ টাকা বিক্রির হিসাব গোপনের তথ্য বেরিয়ে আসে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) সারাবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন গ্রাহকের অভিযোগ বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।

বিজ্ঞাপন

ড. মইনুল খান বলেন, খান’স কিচেন বড় বড় শিল্প কারখানা ও নানা অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করে থাকে। আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতি ব্যবহার করে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসার প্রসার ঘটেছে। উপপরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়ে ক্যাটারিং সার্ভিসটি থেকে বাণিজ্যিক দলিল জব্দ করে। প্রাথমিক যাচাইয়ে এই খাবার সরবরাহকারীর প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ মিলেছে।

ভ্যাট ফাঁকির তথ্য তুলে ধরে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের এই মহাপরিচালক বলেন, খান’স কিচেন পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট চালানের পরিবর্তে ডুপ্লিকেট ও অবৈধ চালান ব্যবহার করে আসছে। এসব চালানে ভ্যাট আইন অনুযায়ী মূসক ৬.৩ ব্যবহার করা হয়নি। তল্লাশির এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটির ক্লিপ ফাইলে দুই মাসের (২০১৯ সালের জুলাই ও ডিসেম্বর) প্রকৃত বিক্রয় তথ্য পাওয়া যায়। তাতে দেখা যায় যে, জুলাইয়ে তাদের মোট বিক্রি ছিল ৯৩ লাখ তিন হাজার টাকা। কিন্তু ওই মাসে প্রতিষ্ঠানটি গুলশান ভ্যাট সার্কেলে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বিক্রির তথ্য উপস্থাপন করেছিল। অর্থাৎ ওই মাসে ৭৩ লাখ ১০ হাজার টাকা বিক্রির তথ্য গোপন করে তারা। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ হারে ২ রাখ ৯৩ হাজার টাকা সুদ প্রযোজ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

মাইনুল খান আরও জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে খান’স কিচেন মোট ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার খাবার বিক্রি করলেও ১৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকার খাবার বিক্রির তথ্য প্রদর্শন করেছে। সে হিসাবে এই মাসে তারা ৬৮ রাখ ৯১ হাজার টাকা বিক্রির তথ্য গোপন করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এর ওপর সুদ প্রযোজ্য হবে ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা।

এই দুই মাসের হিসাব বলছে, খান’স কিচেন বিক্রির তথ্য গোপন করেছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকার। এতে করে তারা ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। এর ওপর ২ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য হবে ৪ লাখ ৮৪ টাকা। সব মিলিয়ে মোট ২২ লাখ ৬৬ হাজার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে খান’স কিচেন।

খান’স কিচেন বিক্রির তথ্য গোপন ভ্যাট গোয়েন্দা ভ্যাট ফাঁকি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর